দখলকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন। এ বিষয়ে পার্লামেন্টে চিঠি দিয়েছে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি। এতে স্বাক্ষরও দিয়েছেন ১৫ এমপি। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থাকায়, এ পদক্ষেপের জন্য এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছে তেলআবিব।
গাজায় বর্বরতম হামলার পাশাপাশি গেলো দেড় বছর ধরে ইসরায়েলের আগ্রাসনের টার্গেট হয়েছে পশ্চিম তীরও। গত কয়েকদিনে আরও বেড়েছে উত্তেজনা-ধরপাকড়। এরই মাঝেই পশ্চিম তীর নিয়ে নতুন ছক কষেছে তেলআবিব।
পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সার্বভৌম অঞ্চল হিসেবে সংযুক্ত করতে চান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানে ইসরায়েলের ‘বিজয়কে’ সাফল্য আখ্যা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এমন কোনো কিছুর অস্তিত্ব রাখাই ঠিক হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাশে থাকায়, এখনই পশ্চিম তীরকে যুক্ত করার উপযুক্ত সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয় পার্লামেন্টে দেয়া চিঠিতে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ’সহ ১৫জন লিকুদ এমপি। আগামী ২৭ জুলাইয়ের মাঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিকল্পনা তাদের।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোরিচ বলেন, এটি ইসরায়েলের শত্রুদের জন্য শক্ত জবাব। আমি লিকুদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিতে চাই, যে মুহূর্তে তিনি আমাকে সংকেত দিবেন তখনই তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবো।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সাথে যুক্ত করার অর্থ, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি কার্যকর হলে সেখানে ইসরায়েলিদের বসতিগুলো স্থায়ী ও বৈধতার স্বীকৃতি পাবে। আন্তর্জাতিক মহলে এখনও পশ্চিম তীর ইসরায়েলের দখলকৃত অংশ হিসেবেই পরিচিত।
এদিকে, পশ্চিম তীরের সংযুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, মিসরসহ কয়েকটি আরব দেশ। ফিলিস্তিনি ভূমিকে ইসরায়েলের জোরপূর্বক সংযুক্তিকরণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ তাদের।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ৬ দিন ব্যাপী আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। তবে অঞ্চলটিকে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে সংযুক্ত করেনি তারা।