ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারী সংক্রান্ত ইতিহাস বরাবরই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ইভানা ট্রাম্প, মার্লা ম্যাপলস এবং মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন এবং পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ঘটনা সকলেরই জানা। তবে ট্রাম্পের জীবনে এক অনুল্লেখিত আক্ষেপ ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বই ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’-এ তিনি স্বীকার করেন যে, ডায়ানাকে মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগ না পাওয়াটা তাঁর বড় আক্ষেপ।
ডায়ানার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদের পর ট্রাম্প নাকি তাঁকে ‘সর্বশেষ ট্রফি’ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করেন। ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সেলিনা স্কট সানডে টাইমসে লিখেছেন যে, ট্রাম্প নিয়মিত ডায়ানার কেনসিংটন প্যালেসের বাসায় বিশাল ফুলের তোড়া পাঠাতেন, যা ডায়ানাকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল। ডায়ানা স্কটকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে অনুসরণ বা উত্ত্যক্ত করছেন বলে মনে হচ্ছে।
১৯৯৭ সালে ডায়ানার মৃত্যুর পর ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের কাছে আবারও ডায়ানার প্রতি তাঁর অনুরাগের কথা জানান। একই বছর হাওয়ার্ড স্টার্নের রেডিও শোতে তিনি বলেন, সুযোগ পেলে তিনি ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেন, তবে আগে এইচআইভি পরীক্ষা করাতেন। ২০০০ সালের আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি ডায়ানাকে তাঁর ‘টপ টেন’ আকর্ষণীয় নারীর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রাখেন এবং বলেন, “তিনি একটু পাগল ছিলেন, তবে এটা তেমন বড় ব্যাপার নয়। তিনি ছিলেন সত্যিকারের রূপসী নারী।”
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরও ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিষ্টাচার বজায় রেখেছেন, যা বিস্ময়কর। ২০২৩ সালে ট্রাম্প দাবি করেন যে, তাঁর প্রকাশিতব্য বইয়ে প্রিন্সেস ডায়ানার চিঠি থাকবে এবং সবাই নাকি তাঁর “পশ্চাদ্দেশ লেহন” করতে চেয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ডায়ানার ভাই আর্ল চার্লস স্পেনসার টুইট করেন যে, ডায়ানা জীবিত থাকাকালীন ট্রাম্পের প্রতি তাঁর মনোভাব “ফেটে যাওয়া মলদ্বারের চেয়েও খারাপ” ছিল।
এই বিতর্ক সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল