চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজির কাছে লজ্জাজনকভাবে ৫ গোল হজম করে ছিটকে পড়ার পর যেন ছায়া হয়ে গেছে ইন্টার মিলান। ক্লাব বিশ্বকাপেও শুরুটা হয়েছিল হতাশায়-মন্তেরির বিপক্ষে ড্র করে ধুঁকছিল ইতালিয়ান জায়ান্টরা। পরের ম্যাচে এশিয়ার প্রতিনিধি উরাওয়া রেডসের বিপক্ষে ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। ১১ মিনিটেই পিছিয়ে পড়লেও শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ম্যাচে ফিরে এসে জয় ছিনিয়ে নেয় ইন্টার, ভেঙে দেয় রেডসের স্বপ্ন।
শনিবার (২১ জুন) ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ ই’র খেলায় উরাওয়া রেডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। ম্যাচের ১১ মিনিটে রায়োমা ওয়াতানাবের গোলে এগিয়ে যায় রেডস। লিড ধরে রেখে এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে ইউরোপের দলকে হারানোর পথে ছিল তারা।
কিন্তু ৭৮ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে সমতায় ফেরে ইন্টার। এরপর ভ্যালেন্তিন কারবনি ৯২ মিনিটে গোল করে জয় এনে দেন ইতালির জায়ান্টদের। এই জয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষে উঠেছে ইন্টার মিলান। ২ ম্যাচেও পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারা রেডসের বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত। এদিন ৮২ শতাংশ বল পজেশন ছিল ইন্টারের দখলে। গোলে ২৬টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে তারা। বিপরীতে রেডস ৫টি শট নিয়ে ৩টি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
ম্যাচে আধিপত্য দেখালেও শুরুতেই গোল খেয়ে বসে ইন্টার। ম্যাচের ১১ মিনিটে রেডসের এক খেলোয়াড় ডান প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্ত গতিতে ওপরে উঠে ইন্টারের দুই খেলোয়াড়কে বিট করে ডি-বক্সে ঢুকে পাস বাড়ান। ফাঁকায় দাঁড়ানো ওয়াতানাবে আলতো শটে বল জালে জড়ান।
১৯ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের শট পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় নেরাজ্জুরিদের। ৫৪ মিনিটে ক্রিস্টজান আসলানির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর দুই মিনিট পর ডিমার্কোর ভলি অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। ৭১ মিনিটে মিখিতারিয়ান সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন।
অবশেষে ৭৮ মিনিটে ইন্টারের ত্রাতা হয়ে ওঠেন অধিনায়ক মার্টিনেজ। কর্নার থেকে আসা বলে দারুণ শটে টপ কর্নার দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। আর ৯২ মিনিটে রেডসদের কপাল পোড়ান কারবনি।