spot_img

পাপের স্বীকারোক্তি কেবল আল্লাহর কাছে

অবশ্যই পরুন

জীবনে মানুষ কত শত পাপে জড়িয়ে পড়ে। পাপ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হয়। আর তাওবার একটি দিক হলো পাপ স্বীকার করা, অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। পাপের স্বীকারোক্তি ও অনুতাপ প্রকাশ করতে হবে কেবল আল্লাহর কাছে। অন্য কারো কাছে নয়। কেননা বান্দার গুনাহ কেবল আল্লাহই ক্ষমা করতে পারেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা কি জানে না যে, আল্লাহই একমাত্র তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০৪)

হাদিসে সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমার যে দোয়া শেখানো হয়েছে সেখানেও পাপ স্বীকারের বর্ণনা এসেছে। দোয়াটি হলো, ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মাবুদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের ওপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার ওপর তোমার যে নিয়ামত আছে তার স্বীকৃতি দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)

প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কোনো পাপ বা অপরাধ যদি প্রকাশ না পায় তবে নিজ থেকে আদালতে দিয়ে স্বীকারোক্তি দেওয়া আবশ্যক নয়। যার দোষ আল্লাহ গোপন রেখেছেন সে যেন নিজের দোষ গোপন রাখে। আল্লাহর কাছে নিষ্ঠার সঙ্গে তাওবা করাই তার জন্য যথেষ্ট। এজন্য মায়িজ বিন মালিক আসলামি (রা.) যখন ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি দিচ্ছিলেন তখন নবীজি (সা.) বার বার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। তেমনিভাবে এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর সামনে এসে যখন জানাল, সে বাগানে এক নারীকে চুমু খেয়েছে তখন ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আল্লাহ এর দোষ গোপন করে রেখেছেন, যদি সে নিজের দোষ নিজে ঢেকে রাখত তাহলে কতই না ভাল হতো। তাঁর কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) চুপ থাকেন।

পাপের স্বীকারোক্তি যেমন কোর্টে গিয়ে লিপিবদ্ধ করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দেওয়ার দরকার নেই, তেমনি মসজিদের ইমামের কাছে বা বন্ধুদের কাছেও বলার দরকার নেই, এজন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ইসলামে পাপ মার্জনার জন্য কোনো ব্যক্তির দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই, (প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে) যেমন খ্রিস্টধর্মের পাদ্রী ও হিন্দু ধর্মের ঋষি-মুনিদের দ্বারস্থ হতে হয়। আল্লাহ নিজেই বান্দার প্রতিটি আহবানে সাড়া দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন আপনাকে আমার বান্দারা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, (তখন বলবেন) আমি তাদের খুবই নিকটে রয়েছি, প্রার্থনাকারীর প্রার্থনায় সাড়া দেই যখন সে আমাকে ডাকে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)

আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করেন। আমিন।

সর্বশেষ সংবাদ

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াত আজ না এলেও কাল যোগ দেবে: প্রেস সচিব

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ যোগ না দিলেও, আগামীকাল যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ