এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে নেমেই শক্তিশালী সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সফরকারীরা ম্যাচে প্রথম লিড নেয়। ওই সময় নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেননি বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
আর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ আরেকটি গোল হজমের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের জালে একবার বল পৌঁছায়। ম্যাচে লড়াই করেও পরাজয়ের মুখ দেখার পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন মিতুল মারমা।
ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে লম্বা থ্রো ইন করে সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের গোলরক্ষক পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে বলের নাগাল পেলেও পুরোপুরি গ্রিপ করতে পারেননি। জর্ডান এমবইয়ের হেডে বল পান হারিস স্টুয়ার্ট। তার বাড়ানো বল বাংলাদেশের জালে ঠেলে দেন সং উই ইয়ান।
এরপরই ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন মিতুল, ভাইকে হারানোর এই শোকের মাঝেও আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য মনোযোগ ধরে রেখেছি। দলের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। এজন্য আমি সত্যিই দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার জন্য সত্যিই এটি কঠিন সময় ছিল।
একই সঙ্গে আরও শক্তি বাড়িয়ে ফেরার প্রত্যাশা বাংলাদেশি এই গোলরক্ষকের। তিনি লিখেছেন, আবারও বলছি, ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। বিশ্বাস রাখুন, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।
উল্লেখ্য, ২০২৭ এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে এই মুহূর্তে সব দলেরই বাকি আছে ৪টি করে ম্যাচ। গ্রুপের শীর্ষে থাকা দলই এখান থেকে এএফসি কাপে যাবে। আপাতত সেই অবস্থান দখলে রেখেছে সিঙ্গাপুর। পূর্ব এশিয়ার দেশটি যদি বাকি সব ম্যাচেই জিতে, তবে তাদের পয়েন্ট হবে ১৬। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
অন্য দিকে তিনে থাকা বাংলাদেশ এই পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ অর্জন করতে পারবে ১৩ পয়েন্ট। ভারতেরও সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান ১৩।