আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে শীতকালকে বিদায় দিয়ে যখন গ্রীষ্মকাল আসে। গ্রীষ্মকালে গরমের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এ সময় ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানিও বের হয়ে যায়। এতে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
শীতকালের বাতাস শুষ্ক থাকে। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ঘাম বেশি বের হয়ে যায়। তাই এই সময় বিশুদ্ধ পানি কিংবা তরলজাতীয় পানি বেশি গ্রহণ করা প্রয়োজন। শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন তখনই দেখা দেবে, যখন শরীর পানি গ্রহণের চাইতে শরীর থেকে পানি বেশি বের হবে। আর না হয়, আপনি পানি কম পান করবেন।
আসুন জেনে নিন, শরীরের পানিশূন্যতায় কী কী করণীয়:
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শরীর হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-৯ গ্লাস পানি পান করুন। প্রতিদিনের আপনার কার্যকলাপ এবং আবহাওয়ার উপর খেয়াল রেখে এই পরিমাণ কম বেশি হতে পারে। পানির পাশাপাশি তরলজাতীয় পানীয় ডাবের পানি, তরমুজের শরবত, লেবুর শরবত পান করুন। এসব পানীয় শরীরের ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
২. প্রস্রাবের রং খেয়াল করুন
প্রতিদিন প্রস্রাবের সময় খেয়াল করুন, প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হচ্ছে কিনা। এটি পানিশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে।
৩. পানিজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন
গরমে তরমুজ, শসা ও মৌসুমি ফল খেতে খান। শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে শসা, তরমুজ হতে পারে উপকারী খাদ্য।
৪. শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা
বিভিন্ন ইলেকট্রোলাইটসমৃদ্ধ খাবার (যেমন, কলা, কমলা) খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। অথবা শরীরচর্চার পরে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস গ্রহণ করুন। এতে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৫. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল
ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হাইড্রেশন কমায় না। এসব অতিরিক্ত সেবনে পানিশূন্যতা বাড়তে পারে।
৬. নিজেকে মনে করিয়ে দিন
প্রতিদিন পানি পান করার বিষয়টি নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অ্যাপ বা অ্যালার্ম ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে পানি গ্রহণ করতে পারবেন। এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন।
গরমে ঘরে ঢুকেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা কতটা ক্ষতিকর?গরমে ঘরে ঢুকেই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা কতটা ক্ষতিকর?
৭. পানির বোতল সঙ্গে রাখুন
ঘরের বাইরে বের হলে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। এতে আপনি যেখানেই যান না কেন হাইড্রেট থাকবেন।
৮. তীব্র তাপমাত্রায় ঘরে থাকুন
গ্রীষ্মকালে আস্তে আস্তে তাপমাত্রার বাড়বে। তবে অত্যধিক তাপমাত্রায় ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে ছাতা সঙ্গে নিন। এতে অতিরিক্ত ঘাম এবং পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাবেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি