পিরোজপুরে একটি হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাত আসামি খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোক্তাগীর আলম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে ছালাম হাওলাদার (৫০), মহব্বত আলীর ছেলে মো. আলমগীর (৫৮), আ. আজিজের ছেলে আ. মালেক (৬৬), মজিদ মোল্লার ছেলে মো. ফিরোজ মোল্লা (৫৭) ও আলফাজ আলীর ছেলে আইউব আলী (৫৮)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর রাত দুইটায় উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠীর কাপালীরহাট বাজারে মো. রফিকুল ইসলামের সাইকেল-পার্টসের দোকানে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল দোকানের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্সে থাকা টাকা লুটে নেয়। এসময়ে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ডাকাতরা পালাবার সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ওই গ্রামের আ. ছোমেদের পুত্র মিজান পেটে গুলি বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সকাল ছয়টায় তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশি তদন্তে ১২ জন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে আদালত ওই পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে সাত জনকে খালাস দেন।
মামলায় আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবির বাদল ও অ্যাডভোকেট এমডি আউয়াল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ হাসান বাবু।