আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে নবম আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। হাইব্রিড মডেলের এই আসর অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। টুর্নামেন্টে ভারতের প্রথম ম্যাচ দুবাইতে। আগামী ২০ তারিখ বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে দুই বারের চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা। তবে আসর শুরুর আগেই দুঃসংবাদ ভারতীয় শিবিরে। সিডনি টেস্টে পাওয়া চোটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জাসপ্রিত বুমরাহর খেলা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা।
বুমরাহ না থাকলে, ভারতের ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমে যাবে— এমনটাই মনে করছেন সাবেক ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী। এই ভারতীয় পেসারের খেলা নিয়ে কী করবে এ নিয়ে নির্বাচকরাও রয়েছে ধোঁয়াশায়।
ভারতের বোলিং আক্রমণের প্রধান শক্তি নি:সন্দেহে জাসপ্রিত বুমরাহ। ২৪ সালে ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। ভারতের টি-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বুমরাহ, হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড়ও। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারলেও বুমরাহ হয়েছেন সিরিজসেরা। সেই সাথে ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন এই ভারতীয় পেসার।
রবি শাস্ত্রী বলেন, বুমরাহ ভালোভাবে ফিট না হলে ভারতের সুযোগ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশই কমে যাবে। আর বুমরাহ যদি সম্পূর্ণ ফিট হয়ে খেলতে পারে, তাহলে ডেথ ওভারে ভারতের ভাল করার নিশ্চয়তা থাকবে। তখন ব্যাপারটা ভিন্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, বুমরাহর না থাকার শঙ্কা বাস্তবে ঘটলে এটা খুব বড় ঝুঁকি হয়ে যাবে দলের জন্য। সামন ভারতের বড় ব্যস্ততা আছে। এখন সে ক্যারিয়ারের যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, আমার মনে হয় এক ম্যাচের জন্য খেলানো এবং ভালো কিছু আশা করাটা খুব বেশি হয়ে যায়। কারণ, সবার প্রত্যাশা থাকবে অনেক বেশি। সবাই মনে করবে বুমরাহ মাঠে নেমেই খেলা বদলে দেবে, কিন্তু পিঠের চোট থেকে ফিরে ভালো করা সহজ কিছু নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অনুষ্ঠিত জবে আট দল নিয়ে। যেখানে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ এরপর সম্ভাব্য সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। ইনজুরি কাটিয়ে বুমরাহ ফিরলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারবেন একটি বা দুটি ম্যাচে। তবে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নয় নির্বাচকদের বার্তা।
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। ২ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শেষ হবে গ্রুপ পর্বের খেলা। ভারত নকআউট পর্ব কিংবা ফাইনালে ওঠার সাথে নির্ভর করবে টুর্নামেন্টের ভেন্যুও। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারত থাকলে সেটি অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। অপরদিকে, ভারত ফাইনাল মিস করলে আসরের মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।