লেবাননের উদীয়মান নারী ফুটবলার সেলিন হায়দার। কয়েকদিন আগেই জাতীয় নারী ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তার স্বপ্ন ছিল আসন্ন ওয়েস্ট এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে লেবাননের জার্সি গায়ে মাঠে নামার। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন অনেক দূরে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়ে এখন কোমায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন সেলিন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে নিজের বাসার কাছেই ইসরায়েলি বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হন সেলিন। তার মাথার খুলিতে ফাটল এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার আগাম হুমকির কারণে সেলিনের পরিবার শহর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু অনুশীলনের সুবিধার জন্য সেলিন বৈরুতেই থেকে যান।
সেলিনের কোচ সামার বারবারি বলেন, সে আমাদের দলের এক অন্যতম প্রতিভা। আমি বিশ্বাস করি, সেলিন এই লড়াইয়ে জয়ী হবে। আমরা সবাই তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।
বর্তমানে সেলিন বৈরুতের সেন্ট জর্জ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তার অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তবে সেলিনের মা সানা হায়দার মেয়ের ফিরে আশা নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, তুমি একজন হিরো, মা। আমি জানি তুমি লড়াই করে ফিরে আসবে। তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
যুদ্ধের এই নির্মমতা শুধু একটি স্বপ্ন থামিয়ে দেয়নি, বরং ফুটবলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ একজন তরুণ প্রতিভার জীবনকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এদিকে সেলিনের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রার্থনা করছেন তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এই যুদ্ধ পরিস্থিতি যেন আরও কোনো স্বপ্ন থামিয়ে না দেয়, সেই প্রত্যাশায় বিশ্ব।