ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক অফিস তুরস্কে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে দেশটি। তবে হামাসের অনেক নেতা তুরস্কে সফর করেন বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র সোমবার জানিয়েছে।
ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি না হওয়ায় মার্কিন চাপে কাতার দোহা থেকে হামাসের ব্যুরো সরিয়ে নিতে বলার পর তা তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মর্মে প্রকাশিত খবরের ব্যাপারে এই মন্তব্য করে সূত্রটি। দোহাও হামাস সদস্যদের বহিষ্কার করার কথা অস্বীকার করেছে।
যে কয়েকটি দেশ হামাসকে মুক্তি ও প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তার একটি হলো তুরস্ক। অন্যদিকে ইসরাইলের সমর্থকরা হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে।
হামাসের সিনিয়র নেতারা প্রায়ই প্রকাশ্যে তুরস্ক সফর করে। তবে গত কয়েক মাসে উচ্চপর্যায়ের কোনো হামাস নেতাকে তুরস্কে দেখা যায়নি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর মধ্যে বিভেদ দূর করার চেষ্টায় গত বছর মরহুম হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন।
ইরানে হামাস নেতা হানিয়া নিহত হওয়ার পর এরদোগান আগস্টে তার ছেলেদের গ্রহণ করেন।
গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ নিয়ে আলোচনায় বর্তমানে স্থবিরতা চলছে। তুরস্ক স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলছে। তারা পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভূমিকা রাখছে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ