বঙ্গোপসাগরের সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে রুপ নিয়েছে। বর্তমানে এটি ৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগুচ্ছে-এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার (২৪ মে) এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার কথা রয়েছে। নিম্নচাপটির কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠে যাচ্ছে ৫৫ কি. মি পর্যন্ত। লঘুচাপটি নিম্নচাপের পর ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিলে এর নাম হবে ইয়াস (yaas)।
আবহাওয়াবিদ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক নম্বর দুরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই অবস্থায় গভীর সমুদ্র থেকে সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরেক আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আরিফ হোসেন জানিয়েছেন, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকার লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। পরবর্তীতে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে ২০২১ নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া অফিস (আইএমডি) ও সাইক্লোন সেন্টার জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি সোমবার সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রুপ নিলে কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০ কি.মি। ওইদিনই আরো শক্তি সঞ্চয় করলে গতি ওঠে যাবে ১০০ কিমিতে।
মঙ্গলবার ১৭০ আর বুধবার উড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, খুলনা উপকূলে আসলে গতি দাঁড়াবে ১৮৫ কিমিতে। বুধবারই এটি অতি প্রবল ঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করে গতি হারাতে থাকবে। বৃহস্পতিবার দুর্বল হয়ে ইয়াস নিম্নচাপে পরিণত হবে। এ সময় ১ থেকে ২ ফুট উচ্চতার সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে।