‘আমার বউ বলেছে মরতে আমায়। জীবন আর রাখতে পারবনা, বউ আমার নয়নমণি, ফেলতে কথা পারবনা।’ নচিকেতার এ গানটা কম বেশি সবাই শুনেছেন। নিছক মজা করে গাইলেও বিবাহিত পুরুষরা খুব ভালো করেই জানেন, বউয়ের মতের বিরুদ্ধে গেলে কি হতে পারে? তা তিনি যেই হন না কেন।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিও এর বাইরে নন। মাঠে নামীদামী ডিফেন্ডারদের নাচিয়ে ছেড়ে দিলেও পোশাকটাও পরতে হয় বউ আন্তোনেলা রুকুজ্জুর পছন্দে। কোনো রাখঢাক না রেখে সরাসরিই বলেছেন এ মহা তারকা। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও ওলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন মেসি।
তবে ফ্যাশন নিয়ে বিশেষ কোনো পছন্দ না থাকার কারণেই স্ত্রীর পছন্দে কাপড় পরেন এ আর্জেন্টাইন তারকা, ‘আন্তোনেলা আমার জন্য (কাপড়) বেছে নেয়। আমি খুব বেশি করি না। আমার বিশেষ কিছু নেই এবং কখনোই এ নিয়ে মাথা ঘামাইনি, কেবল স্বাভাবিক থাকি।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মেসিকে ক্লিন শেভ দেখা গিয়েছে। তবে ২০১৬ সাল থেকে দাঁড়ি রাখা শুরু করেন তিনি। এটাও কি বউয়ের ইচ্ছাতেই রেখেছেন মেসি?
মেসির উত্তর, ‘আমি সব সময় শেভ করতাম। জিলেটের (রেজার কোম্পানি) সঙ্গে যখন আমার চুক্তি ছিল তখন তারা আমাকে সব সময় শেভ করতে বলত। ওদের চুক্তি শেষ হওয়ার পরই আমি ঠিক করি যে শেভ করব না। ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকা, যেটা আমেরিকায় হয়েছিল তখন থেকে দাড়ি রাখা শুরু করি। ওখানে অনেককেই দাড়ি রাখতে দেখেছি।’
বউয়ের পছন্দে পোশাক পরার পাশাপাশি ঘরের কাজেও বেশ সাহায্য করেন মেসি। বিশেষকরে বাচ্চাদের দেখাশুনা, ‘বাচ্চাদের নিয়মিত জীবনযাপনের জন্য আমরা খুব বেশি বাইরে যেতে পারি না। আমাদের ৩ জন সন্তান রয়েছে। আমরা তাদের রুটিন অনুযায়ী চলি। স্কুল শেষেও তাদের অনেক কাজ করতে হয়, তাদের স্কুল আনা নেওয়াও করতে হয়।’
তবে রান্না ঘরে খুব একটা পারদর্শী নন মেসি, ”আমি কেমন রান্না করি? আমি মাঝে মধ্যে রান্না ঘরে যাই, তবে আমি খুব বেশি বারবিকিউ রান্না করি না। আমি সবার সঙ্গে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পছন্দ করি।’
তবে সবমিলিয়ে স্ত্রী-পরিবার সময় দিতে পেরে দারুণ সুখী মেসি, ‘আমি ভাগ্যবান তাদের সঙ্গে অনেক কিছু ভাগ করে নিতে পেরেছি। কারণ অনেক বাবা-মাই আছেন যারা সারা দিন কাজ করে এবং সন্ধ্যা অবধি তারা বাড়িতে ফিরতে পারে না, যেমনটা আমার সঙ্গেই ঘটেছিল, সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে বাবা পৌঁছেছেন রাত ৯ টায়…’