তিন ফরম্যাট মিলে সবশেষ দশ ম্যাচের মধ্যে আটটিতেই জিতেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেয়েছে সবকয়টি সিরিজেই। তবু একের পর এক সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারদের রোষানলে পড়ছে দল নির্বাচন প্রক্রিয়া।
এইতো কিছুদিন আগে নির্বাচক ও ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজরা। সাবেকদের মধ্যে রমিজ রাজা, রশিদ লতিফ, ইনজামাম উল হকরাও ব্যস্ত দলের সমালোচনায়। এতে নতুন করে যোগ দিলেন শোয়েব আখতার।
জিম্বাবুয়ে সফরের দুই টেস্টেই ইনিংসে ব্যবধানে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতলেও, ব্যাটিং অর্ডার যেন পছন্দ হচ্ছে না শোয়েবের। তার মতে, কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা কোনো দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না।
পিটিভি স্পোর্টসে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষুদ্ধ শোয়েব কথা বলেছেন দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। তার ভাষ্য, ‘পাকিস্তান দল জয়ের মধ্যে আছে, এতে দোষের কিছু নেই। এই জয়ী দলে খেলেও, যদি কেউ ভালো না করে তাহলে তো কিছু বলার নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘একটা সিরিজ চলছিল, এ জন্য ওই সময় তাদের সমালোচনা করারও কোনো দরকার ছিল না। আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে গেছি, যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারে। এখন সিরিজ শেষ হয়ে গেছে, চিৎকার করে বলব, এমন ক্রিকেট আর খেলো না। এটা মানা যায় না। এভাবেই যদি খেলতে থাকো, তাহলে ব্যর্থ হতেই থাকবে।’
এসময় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চলমান গোলকধাঁধার মুন্ডুপাত করেন শোয়েব। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে টপঅর্ডারের বদলে ৬-৭ নম্বরে খেলা হয়েছিল রিজওয়ানকে। এতেই ক্ষেপেছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
বোর্ডের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘আপনি জানেন না যে, রিজওয়ানকে নিয়ে আপনি কী করছেন। রিজওয়ানও এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। এটা কারও চাচার দল নয় যে, আপনি চাইলেই সব ফরম্যাটে যে কাউকে ওপেন করাতে পারেন। দল আপনাকে যে ভূমিকায় দেখতে চায়, সেটাতে আপনাকে অভ্যস্ত হতে হবে।’
‘যেহেতু পাকিস্তান জিতছিল তাই আপনি কে বা কোথা থেকে এসেছেন, তা নিয়ে কেউ ভাবেনি। একজন খেলোয়াড়ের তার নিজের ইচ্ছাতেই পারফর্মে উন্নতি করা উচিত এবং ক্রিকেটের নতুন ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। এটা একেবারে সহজ হিসাব। আপনি তেমন পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলে দল থেকে বাদ পড়বেন।’