spot_img

নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখোমুখি ইসরাইল, বলছেন সামরিক কর্মকর্তারা

অবশ্যই পরুন

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে অব্যাহতভাবে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। অপরপক্ষে পাল্টা জবাবে ইসরাইল অভিমুখে সহস্রাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে হামাস। গত সাত দিনে সর্বোচ্চ রকেট হামলার মুখোমুখি হয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত গাজা থেকে ৩ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে ইসরাইলে।

ইসরাইলি আর্মি হোম ফ্রন্ট কমান্ডের প্রধান জেনারেল উরি গর্ডিন বলেছেন যে, তারা বর্তমানে একটি নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। রোববার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় গর্ডিন বলেন যে, গত সোমবার চলমান সংঘর্ষের শুরু থেকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি দলগুলি ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই চিত্রটি ২০১৯ (৫৭০) এবং ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধে (১৯ দিনের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ রকেট) ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সংখ্যা ছাড়িয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র, ওফির গেন্ডেলম্যান এর আগে টুইটারে বলেছিলেন যে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্তমান ইসরাইলি সামরিক আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাস ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে ২ হাজার ৯০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে, যদিও তার মধ্যে প্রায় ৪৫০টি গাজা ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়েছে।

এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরাইলের সেনাবাহিনী রোববার স্বীকার করেছে, এবারের সংঘাতে তারা ফিলিস্তিন থেকে সর্বোচ্চহারে রকেট হামলার মুখে পড়েছে। গাজা উপত্যকা থেকে যে হারে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলা হচ্ছে, তা দেখে রীতিমতো বিস্মিত ইহুদিবাদী দখলদার দেশটি।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে তারা অধিকাংশ রকেট হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা সামনে আসছে। গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট আয়রন ডোম ফাঁকি দিয়ে ইসরাইলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।

সর্বশেষ সংবাদ

জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে চেষ্টা করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত দেশটির চাহিদা পূরণ করতে হবে।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ