spot_img

ভারতে অক্সিজেনের পর চিকিৎসক-নার্স সংকটের আশঙ্কা : দেবী শেঠি

অবশ্যই পরুন

ভারতজুড়ে তাণ্ডব চলছেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের। এই ভাইরাসের ছোবলে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার) দেশটিতে আরও ৩ হাজার ৭৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মহামারী চলাকালে একদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে দেশটিতে মোট প্রাণহানি ছাড়াল দু’লাখ ২৬ হাজার। এর মধ্যে আরও আশঙ্কার কথা জানালেন বিশ্বখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. দেবী শেঠি। তিনি বলেন, বর্তমানে সারা ভারতে কোভিড রোগীরা অক্সিজেন সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে এর থেকেও বড় সমস্যা আসতে চলেছে। জীবনদায়ী গ্যাসের ঘাটতির পর এবার চিকিৎসকদের ঘাটতিও আসতে চলেছে। -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সম্প্রতি সিমবায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে এমনই আশঙ্কার কথা জানান। ডা. শেঠি আরও বলেন, একবার অক্সিজেন সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী সমস্যাটি আইসিইউতে রোগীদের মৃত্যুর কারণ হবে। কারণ তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য কোনও নার্স এবং চিকিৎসক নেই। এমনটাই ঘটতে যাচ্ছে। এ নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। প্রখ্যাত এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, মে মাস থেকেই সমস্যা বাড়তে থাকবে। প্রত্যেক ডাক্তার কিংবা নার্সদের কোভিড আইসিইউতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করতে অসুবিধা হয়। কোভিডের প্রথম পর্যায় থেকে চিকিৎসকরা কাজ করছেন, তারা মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন এই রোগে।

তার মতে, ভারতে করোনা মহামারীর এই সঙ্কটে অবিলম্বে দেশে ২ লক্ষ নার্স নিয়োগ করা উচিত। আমাদের ২ লক্ষ নার্স এবং দেড় লক্ষ ডাক্তার তৈরি করতে হবে, যা পরবর্তী এক বছরের জন্য কোভিড চিকিৎসা পরিচালনা করবেন। সারাদেশে বিভিন্ন নার্সিং স্কুল ও কলেজগুলোতে প্রায় ২.২০ লক্ষ নার্স তিন বছরের জিএনএম বা চার বছরের বিএসসি কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন তবে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এই প্রশিক্ষিত নার্সদের এক বছরের জন্য কোভিড আইসিইউতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া উচিত, এরপর তারা তাদের ডিগ্রির সনদ পেতে পারে।

সর্বশেষ সংবাদ

জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে চেষ্টা করছে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে শ্রম অধিকার সংক্রান্ত দেশটির চাহিদা পূরণ করতে হবে।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ