পৃথিবীর দিকে দৈত্যাকার একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, দৈত্যাকার এই গ্রহাণু পৃথিবীর একটা বড় অংশ ধ্বংস করে দেবে। এমনকি পরমাণু বোমা দিয়েও এটা ঠেকানো যাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। খবর ডেইলি মেইলের।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে ৩৫ মিলিয়ন মাইল দূরে রয়েছে এই গ্রহাণুটি। পৃথিবীকে বাঁচাতে এই গ্রহাণু নিয়ে পরিকল্পনা করার জন্য তাদের হাতে ৬ মাস সময় রয়েছে। একটি স্টিমুলেটেড এক্সারসাইজের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছে।
২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এই পরীক্ষা চালানো হয়। এসময় জোর্তিবিজ্ঞানীরা রাডার সিস্টেম, ডাটা ইমেজিং এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করাতে একটি মহাকাশযান তৈরি করতে ছয় মাস সময় যথেষ্ট নয়। আবার একটি পরমাণু বোমা দিয়েও এই দৈত্যাকার গ্রহাণুকে ঠেকানো যাবে না বলে জানিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটির নাম দিয়েছে ২০২১পিডিসি। পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তু খোঁজার যে প্রজেক্ট রয়েছে, সেটি চালানোর সময় এটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। নাসার প্লানেটারি ডিফেন্স প্রোগ্রামের জন্য এই প্রজেক্টটি পরিচালনা করে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়।
আগামী ১৪ অক্টোবর বিশ্বে এই গ্রহাণুটি আঘাত হানতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সেক্ষেত্রে কোথায় এই গ্রহাণুটি আঘাত হানতে পারে সেটার সম্ভাব্য জায়গা সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন তারা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া, স্লোভেনিয়া এবং ক্রেয়েশিয়ায় আঘাত হানতে পারে।