করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতে পারেননি অনেক মুসল্লিরা। ফলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
জুমার নামাজে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক ফাঁকা ছিল মুসল্লিদের চলাফেরা ও অবস্থান। মূল চত্বর ছাড়া বারান্দা সিঁড়ি-প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থানে খালি ছিল। অন্যান্য জুমার মতো মাকেট চত্বর বা আশেপাশে কাতার করতে হয়নি মুসল্লিদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভেতরে একটির পর একটি কাতার ছেড়ে মুসল্লিরা বসেছেন। এছাড়া বেশিরভাগ কাতারেই দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হচ্ছে। অজুখানাসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি আগত মুসল্লিদের বেশির অংশকেই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে দেখা গেছে। বেশি অংশের হাতে ছিল জায়নামাজও।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম জুমার নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে এই দোয়া করা হয়। বায়তুল মোকাররমে মোনাজাত পরিচালনা করেন পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
মোনাজাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের আরোগ্য কামনা করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য দান করার জন্য আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করা হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে কতিপয় বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে শর্ত বেঁধে দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ফলে ১৬ এপ্রিলও জুমার পরে যেন কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।