ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। দেশটিতে গত পাঁচদিন ধরে লক্ষাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। রোববার (১১ এপ্রিল) সেই সংখ্যা রীতিমতো দেড় লাখের ঘর পার করেছে। এই পরিস্থিতিতেও জোরেশোরেই টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করছে দেশটি। যার কারণে ইতোমধ্যেই ভারত ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছে। যা একক দেশ হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০ কোটি টিকা দেওয়া সম্পন্ন করেছে ভারত। টিকাদান কর্মসূচি শুরুর মাত্র ৮৫ দিনের মধ্যে দেশটি এই মাইলফলক অর্জন করল। ফলে যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। মাত্র ৮৫ দিনের মাথায় দেশটি ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন করল। দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ করোনা টিকা নিচ্ছে।
তবে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরও ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে রোববার (১১ এপ্রিল) থেকে দেশটিতে ‘টিকা উৎসব’ শুরু হচ্ছে। টিকা নেওয়ার যোগ্য সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনাই এই অভিযানের লক্ষ্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে এবং আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এটা চলবে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যালয় করা একটি টুইটে বলা হয়েছে, মানুষকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুততম দেশ হিসাবে ভারত শীর্ষে উঠে এসেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই মাইলফলকে পৌঁছাতে পেরেছি। এটিই ভারতকে স্বাস্থ্যকর এবং করোনামুক্ত করে গড়তে প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
বিহার, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতোমধ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের ‘টিকা উৎসব’-এ অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এই উৎসব টানা চার দিন চলবে।
যদিও ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। তবে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশের সকল রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, বেশিরভাগই রাজ্যই মানুষকে টিকা দিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।