ফিলিপাইন সীমান্তের কাছে চীনা জাহাজের উপস্থিতি এবং তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনের সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান প্রবেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর চীনের এই যুদ্ধংদেহী গতিবিধির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। এর আগে ফিলিপাইন এবং তাইওয়ান চীনের এই ধরণের আচরণকে আগ্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী বা সরকারি জাহাজের ওপর আক্রমণ, দক্ষিণ চীন সাগরসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইনের পারস্পারিক প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় আমাদের বাধ্যবাধকতা বৃদ্ধি করবে।
গত ৭ মার্চ চীনের দুই শতাধিক জাহাজ ফিলিপাইনের এক্সলুসিভ ইকোনোমিক জোনের ২০০ মাইলের কাছে পালাওয়ান দ্বীপের নিকট চিহ্নিত করা হয়। এরপর দক্ষিণ চীন সাগরজুড়ে চীনের ওই জাহাজগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
এরপর সপ্তাহজুড়ে ম্যানিলা বেইজিংয়ের প্রতি সমুদ্রে মিলিশিয়া প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। ফিলিপাইনের ভাষ্য, তাদের এক্সলুসিভ ইকোনোমিক জোন এলাকায় চীনের আক্রমণ হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী অবৈধ।
সম্প্রতি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চীনা আগ্রাসন যুক্তরাষ্ট্রকে চিন্তিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে চীন আরও বেশি আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে। অঞ্চলটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি ও ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এই মন্তব্য করেন মার্কিন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. ক্যাথলিন হিকস।