ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মঈন আলীকে ব্যঙ্গ করে বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের করা এক পোস্টে বিতর্কের ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। সোমবার (৫ এপ্রিল) একটি টুইটে তসলিমা মন্তব্য করেন, মঈন ক্রিকেট না খেললে বিশ্বব্যাপী ত্রাস ছড়ানো সন্ত্রাসী গ্রুপ আইএসআইএসে যোগ দিতেন।
বাংলাদেশি লেখিকার এই মন্তব্যের জেরে ঝড় ওঠে টুইটারে। তার এই বিতর্কিত মন্তব্যের জবাব দেন মঈনের জাতীয় দলের সতীর্থ জোফরা আর্চার। তসলিমা টুইট করেছিলেন, ‘মঈন আলী যদি ক্রিকেটের সঙ্গে না থাকতেন, তাহলে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসআইএসে যোগ দিতেন।’ এই টুইটকে হালকাভাবে নেননি আর্চার। ৯৬টি আন্তর্জাতিক উইকেট নেওয়া বিশ্বকাপ জয়ী পেসার রিটুইটে লিখেছেন, ‘আপনি কি সুস্থ-স্বাভাবিক? আমার মনে হয় না।’
বিতর্কের ঝড় ওঠায় পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করতে আবার টুইট করেন তসলিমা। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকালের দিকে আরেক টুইটে তিনি লেখেন, ‘নিন্দুকেরা খুব ভালো করেই জানে যে মঈন আলীকে নিয়ে করা আমার টুইট ছিল ব্যাঙ্গাত্মক। কিন্তু আমাকে অপদস্ত করতে তারা এটাকে ইস্যু বানিয়েছে। কারণ আমি মুসলিম সমাজকে ধর্মনিরপেক্ষ করার চেষ্টা করি এবং ইসলামী ধর্মান্ধতার বিরোধিতা করি। মানবজাতির অন্যতম ট্র্যাজেডির বিষয় হলো, একজন নারীবাদী বামপন্থি একজন নারী বিরোধী ইসলামপন্থিদের সমর্থন দেয়।’
আর্চার কিন্তু এতে শান্ত হননি। তিনি তসলিমাকে টুইটটি ডিলিট করার দাবি জানান, ‘ব্যাঙ্গাত্মক? কেউ তো হাসছে না, এমনকি আপনিও না। এখন অনন্ত যে কাজটা আপনি করতে পারেন তা হলো টুইটটি ডিলিট করে ফেলা।’
সাবেক ইংল্যান্ড পেসার রায়ান সাইডবটম তো তসলিমার টুইটার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলার দাবি জানান, ‘আমার মনে হয় আপনি সুস্থ আছেন কি না তা আপনার যাচাই করা উচিত। আপনি আপনার অ্যাকাউন্টটিও মুছে ফেলতে পারেন।’
মঈনকে নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত একটি ঘটনা থেকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এবারের আইপিএলে তার দল চেন্নাই সুপার কিংসে একটি মদ প্রস্তুতকারক কোম্পানির লোগো রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নিজের জার্সি থেকে ওই লোগোটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন মঈন। কিন্তু চেন্নাই দাবি করে, এই সংবাদ সঠিক নয়। এর পরই তসলিমা বিতর্কিত টুইটটি করে বসেন, যেটা এখন আর তার পেজে দেখা যাচ্ছে না।