প্রতিবেদনের কঠোর সমালোচনা করেছে তুরস্ক সরকার। এতে দুই ন্যাটোমিত্রের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন মাত্রা পেয়েছে। বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তুরস্কের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য-উপাত্ত ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’। তাদের অভিযোগ ভাসাভাসা।
মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ‘২০২০ শতকের মানবাধিকার চর্চা’ শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন থেকে শুরু করে হাজার হাজার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে কারাগারে আটকে রাখা, যাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরাও রয়েছেন।
ফেতুল্লাহ গুলেন সমর্থক ও কুর্দিস্থান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের সরাসরি লক্ষ্যবস্তু বানানো নিয়েও মার্কিন প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
তুরস্কে ২০১৬ সালে এরদোগানকে উৎখাতে অভ্যুত্থান চেষ্টার মূলহোতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় গুলেনকে। পিকেকে ও গুলেন আন্দোলনকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করেছে তুরস্ক।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের একজন কঠোর সমালোচক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০১৯ সালে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে এরদোগানকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ফোনালাপ করলেও এখন পর্যন্ত এরদোগানের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বাইডেন।