মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনসহ সব নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে, বিকেল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি সব নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ কমিশন বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে করোনার পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব কি না সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে আগারগাঁও নির্বাচন ভবন কমিশনের ৭৮তম সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১১টি পৌরসভা এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তও স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, দেশের করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, স্থগিত ভোটের তারিখের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারিখ জানানো হবে। এসব নির্বাচন যে পর্যায় থেকে স্থগিত হয়েছে সেখান থেকেই শুরু হবে। নতুন পরিস্থিতিতে আর কোনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, পাবনার সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানে আদালতের আদেশ রয়েছে। সেই কারণে আগামী ৪ এপ্রিল এ পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় দেশের ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ ও ষষ্ঠ ধাপে ১১টি পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। বর্তমানে এসব নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলছে। এরইমধ্যে ভোট স্থগিতের খবরে প্রার্থী, ভোটার ও জনমনে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।