ইরান বলেছে, এশিয়া থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনের জন্য সুয়েজ খালের তুলনায় প্রস্তাবিত নর্থ-সাউথ করিডোর (এনএসটিসি) রুটের ঝুঁকি অনেক কম ও অনেক বেশি লাভজনক। সুয়েজ খালে একটি বিশাল জাহাজ আড়াআড়িভাবে আটকে পড়ার কারণে গত কয়েক দিন ধরে সেখানে অসংখ্য জাহাজের জট আছে এবং এর ফলে প্রতিদিন শতশত কোটি ডলারের ক্ষতি হচ্ছে।
মস্কোয় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি শনিবার এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, এনএসটিসি ভারত থেকে ইউরোপে পণ্য পরিবহনের সময় ২০ দিন এবং খরচ শতকরা অন্তত ৩০ ভাগ কমাতে পারবে। কাজেই পণ্য পরিবহনের জন্য এটি সুয়েজ খালের একটি সেরা বিকল্প হতে পারে।
ইরানের পাশাপাশি ভারত ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর বা এনএসটিসি রুটের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০০ সালে ৭,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বহুমুখী এই রুটের প্রস্তাব করা হয়। পরে মধ্য এশিয়ার ১০টি দেশ এই পরিকল্পনায় যুক্ত হয়।
জাহাজ, রেল ও সড়কপথের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এ রুটে পণ্য পরিবহনের খরচ শতকরা ৩০ থেকে ৬০ ভাগ কমবে। এ ছাড়া বর্তমানে সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্য পরিবহনে ৪০ দিন সময় লাগলেও প্রস্তাবিত রুটে সময় লাগবে মাত্র ২০ দিন।
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় চবাহার সমুদ্রবন্দর এই রুট বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
গত মঙ্গলবার থেকে জাপানি মালিকানার বিশাল মালবাহী জাহাজ এভারগ্রিণ সুয়েজ খালে আড়াআড়িভাবে আটকে পড়ায় মালবাহী জাহাজ চলাচলে তৈরি হয়েছে বিশাল সমস্যা। লোহিত সাগরে ২০০-এর বেশি জাহাজের বিশাল জট তৈরি হয়েছে এবং অনেক জাহাজ আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছে। চারটি ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান দৈর্ঘ্যের জাহাজটি টেনে তোলার জন্য কাজ করছে ১০টি ড্রেজিং টাগবোট। সুয়েজ খালে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন মিশর প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ডলারের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সূত্র : পার্সটুডে