spot_img

তুরস্কের ড্রোন সফলতায় অনুপ্রাণিত ব্রিটেন

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাজ্য তার নতুন প্রতিরক্ষা নীতির কৌশল সংক্রান্ত নথিতে প্রতিরক্ষা শিল্পে বিভিন্ন রোবটিক যানের (সমুদ্র, স্থল ও আকাশে) উন্নয়নের গুরত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। এ গুলোকে বিভিন্ন রণক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে, তুরস্ক যেমন তাদের ড্রোনগুলোকে উন্নয়ন করার মাধ্যমে নাগোরনো-কারাবাখ ও লিবিয়ায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছিল।

এ নথি সোমবার প্রকাশ করা হয় যার শিরোনাম হলো ‘প্রতিযোগিতার যুগে প্রতিরক্ষা’। এ প্রতিবেদনে ২০৩০ সালকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ আর্মির রণসজ্জার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, সেনা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমানো এবং এর পরিবর্তে ড্রোন ও আধুনিক যুদ্ধ প্রযুাক্তির ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া।

এ নথিটি ৬৯ পৃষ্ঠার। এটা সম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃটেনের পররাষ্ট্র নীতি ও জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির পর্যলোচনার ওপর ভিত্তি করে করে তৈরি। এখানে ব্রিটিশ বাহিনীর জন্য যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে তার ওপরও তথ্য দেয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে আগামীতে ব্রিটিশ বাহিনী যে সকল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে তার তথ্যও দেয়া হয়েছে।

এ নথির মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে ব্রিটিশ বাহিনীকে `ঝুকি মোকাবেলায় সমন্বিত শক্তি’ হিসেবে গড়া হবে। সমুদ্র, স্থল, আকাশ, মহাশূণ্য ও সাইবার ক্ষেত্রে এ বাহিনীর উন্নয়ন করা হবে। চার বছর এসব যুদ্ধ উপকরণের জন্য ৮৫ বিলিয়ন পাউন্ড (১১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) খরচ করা হবে। এ বাজেটের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী একটি প্রতিযোগিতামূলক অবকাঠামো পাবে।

এ নথিতে বলা হয়েছে ভাবিষ্যৎ আকাশ প্রতিরক্ষার জন্যও বিনিয়োগ করা হবে। নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জনের জন্য বিশাল ড্রোন বহর, শক্তি অস্ত্র ও আধুনিক অস্ত্র ব্যাবস্থার ওপরও বিনিয়োগ করা হবে। ব্রিটিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের ভিত্তি স্থাপনে গবেষণা ও উন্নয়নে বরাদ্দ থাকবে। দীর্ঘ মেয়াদি কৌশলের অংশ হিসেবে ‘পরীক্ষা ও মূল্যায়ন’ প্রক্রিয়াকে উন্নত করা হবে। এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল ব্যবস্থা ও মহাশূন্যভিত্তিক বিভিন্ন প্রায়োগিক বিষয়ে উন্নয়ন করা হবে।

এ নথিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু দেশ সামরিক-বেসামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নতুন প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অর্জনের জন্য। এদেশগুলো বেসামরিক আবিষ্কারের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে। কম খরচের ড্রোন যেমন তুরস্কের তৈরী ড্রোনগুলো নাগোরনো-কারাবাখ ও লিবিয়ায় প্রচণ্ড আঘাত হানতে পেরেছে। এ ড্রোনগুলো উচ্চ-প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ভারী বর্মাচ্ছাদিত সামরিক যানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এ নথিতে মহাশূন্য গবেষণা ও স্যাটেলাইট ব্যবস্থার উন্নয়নেও গুরত্ব দেয়া হয়।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ

সর্বশেষ সংবাদ

অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়, কটাক্ষের শিকার রুক্মিণী

ওপার বাংলা ভারতের কলকাতা, অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র পর্দায় ফিরছেন বিনোদিনী হিসেবে। সেই ছবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। আবার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ