ইংলিশ ক্রিকেটে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করলেন ইংল্যান্ড নারী জাতীয় দলের খেলোয়াড় সারা টেইলর। দেশটির সাবেক এই উইকেটরক্ষক প্রথম নারী হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেটের কোচিং স্টাফ হিসেবে যুক্ত হলেন। ঐতিহ্যবাহী দল সাসেক্সের উইকেটকিপার কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৩১ বছর বয়সী সারা। ইতিহাসে প্রথম কোনও নারী ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের কোনও পুরুষ ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে যুক্ত হলেন।
সহকারী কোচ হিসেবে টেইলর কাজ করবেন মূলত কিপিং নিয়ে। সবসময়ের সেরা কিপারদের ছোট্ট তালিকায়ও রাখা হয় তাকে। পাশাপাশি প্রয়োজনে দেখভাল করবেন ব্যাটিংও। ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭ সেঞ্চুরিতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার রান আছে তার।
টেইলরের বয়স মোটে ৩১, সব ঠিক থাকলে এখনও খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। উইকেটের সামনে-পেছনে পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াই করে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি বিদায় জানান ক্রিকেটকে।
এরপর একটি স্কুল দলের কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন টেইলর। গত মাসেই একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তিনি ফিরলেন বটে, তবে নতুন চমক নিয়ে।
সাসেক্সের প্রধান কোজ জেমস কার্টলি বললেন, তার দলে অনেক কিছুই যোগ করতে পারেন টেইলর। সারাহর দেয়ার আছে অনেক কিছু, শুধু আমাদের ক্রিকেটারদের জন্যই নয়, দলের আবহের জন্যও। উইকেটকিপিংয়ে সে দারুণ দক্ষ, কিন্তু ব্যক্তি হিসেবেও দলে যোগ করবে অনেক কিছু । প্রেক্ষাপটে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে সে, কোচ হিসেবে নতুন ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সে অসাধারণ।
টেইলর নিজেও আগ্রহভরে তাকিয়ে আছেন ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায়ের দিকে। তিনি বলেন, সাসেক্সে দারুণ প্রতিভাবান একদল কিপার আছে আমাদের এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমি মুখিয়ে আছি। তাদের সেরাটা বের করে আনতে নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আমি ভাগাভাগি করে নিতে চাই। সবকিছু সহজ রাখা ও মৌলিকত্বকে নিখুঁত করে তোলায় বিশ্বাসী আমি, যাতে ছেলেরা গ্লাভস হাতে উপভোগ করতে পারে এবং নিজেদের মেলে ধরতে পারে।
২০০৬ সালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক সারার। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১০ টেস্ট, ১২৬ ওয়ানডে ও ৯০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন লন্ডনে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটার। ১২৮ ক্যাচ ও ১০৪টি স্ট্যাম্পিং করেছেন সারা।