ইউরোপের মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ক কেবল তার অধিকার এবং অঞ্চল রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে তাদের অন্য আর কোনো উদ্দেশ্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
শনিবার (৬ মার্চ) ব্লু হোমল্যান্ড ২০২১ কৌশলগত অনুশীলনে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, আঙ্কারা এখন দেশিয় ও জাতীয় অস্ত্র ব্যবস্থা পরীক্ষা করছে। খবর ডেইলি সাবাহর
এরদোগান বলেছেন, আমাদের নৌবাহিনী তাদের অভিজ্ঞতা, শৃঙ্খলা, যোগ্য কর্মী দিয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে তাতে আমরা গর্বিত।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মতে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুর্কি জাতি এবং তুর্কি সাইপ্রাসের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, গত বছর আঙ্কারা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধানে জাহাজ পাঠিয়েছিল। এই অঞ্চলের দাবি করে তুরস্ক ও উত্তর সাইপ্রাস।
নৌশক্তির জানান দিয়ে এরদোগান বলেন, আমরা বিশ্বে ১৩০টিরও বেশি নৌ প্ল্যাটফর্ম রপ্তানি করেছি। যার ব্যয় ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। যার সবই আমাদের শিপইয়ার্ডে তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক এমন ১০টি দেশের মধ্যে একটি, যারা তাদের নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ ডিজাইন, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে। আমাদের নৌ শক্তিকে বিশ্বে একটি পরাশক্তি হিসেবে তৈরি করতে বদ্ধপরিকর।
এরদোগানের ভাষায়, তুরস্কের প্রতিরক্ষা রপ্তানি ২৪৮ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সামরিক জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সক্ষমতা এখন বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকে তুরস্ককে বিশ্ব দরবারে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরতে নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন এরদোগান। শুরু থেকেই বিশ্বের একাধিক ক্ষেত্রে যুদ্ধে নিজেদের যুক্ত করেছে তুরস্ক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হবে তুরস্কের তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না।
এখন সময়ই বলে দেবে যে, এরদোগান তার লক্ষ্যে সফল হবেন কি না।