ইউরোপিয় ইউনিয়ন(ইইউ)কে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়া বা বেক্সিটের কারণে নতুন অনেক নিয়ম তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ম শুধু দেশটির নাগরিকদের মানতে হচ্ছে তা নয়, নিয়ম মানতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে ইতালির দেড় কোটি মৌমাছি।
সম্প্রতি একজন ব্রিটিশ মৌমাছি পালক জানিয়েছেন, ইতালি থেকে যুক্তারাজ্যে দেড় কোটি শিশু মৌমাছি আমদানির পরিকল্পনা করেন তিনি। এর প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। কিন্তু ইতালির কর্তৃপক্ষ মৌমাছি যুক্তরাজ্যে নেওয়া আটকে দেয়।
প্র্যাট্রিক মার্ফেট নামের এই বিট্রিশ নাগরিক বি ইকুইপমেন্ট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি মূলত ব্যবসার জন্য এই শিশু মৌমাছি আমদানি করতে চাইছেন। এছাড়া এই মৌমাছি পালনের ফলে ব্রিটিশ কৃষকদের ফসলের পরাগায়নেও উপকার হবে বলে তিনি মনে করছেন।
কিন্তু ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে যাওয়ায়, শিশু মৌমাছি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে রানি মৌমাছি আমদানির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। মার্ফেট শুরুতে এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে উত্তর আয়ারল্যান্ড দিয়ে মৌমাছিগুলো আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এমন করলে তার মৌমাছি জব্দ অথবা পুড়িয়ে ফেলা হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
মার্ফেট বলেন, ‘আমি শখ করে মৌমাছি পালন করি। গত ২০ বছর ধরে এটি করছি। এটি প্রকৃতপক্ষে খুবই বোকার মতো চিন্তা যখন কোনও দেশ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এবং একই সঙ্গে রফতানির কথা ভাবছে।’
বেক্সিটের আগে মার্ফেট ইতালি থেকে শিশু মৌমাছি আমদানি করতেন। কারণ সেখানে আবহাওয়া তুলনামূলক উষ্ণ। এছাড়া মৌমাছি কেনার জন্য ইতোমধ্যে ২০ হাজার ইউরো ডিপোজিটও করেছেন তিনি। মৌমাছি আমদানি না করলে তাকে ১ লাখ ইউরো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, ‘মৌমাছির পরিমাণ কমছে ইউরোপের এমন তিনটি দেশের মধ্যে একটি যুক্তরাজ্য। মৌমাছি কমে যাওয়া মানে পরাগায়ন কমে যাওয়া, ফলে ফল ও ফসল কম হবে। পরবর্তী সময়ে এগুলো আমদানি করতে হবে।’
মৌমাছি আমদানির বিষয়টি ছাড় দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন প্র্যাট্রিক মার্ফেট।