তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান সামনের দিনগুলোতে সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছেন। মঙ্গলবার দেশটির কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী ট্রাবজোনে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) প্রাদেশিক কংগ্রেসে এই অঙ্গীকার করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, যে সকল স্থান এখনো হুমকিমূলক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, সেখানে এই অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, ‘যে গুহাতেই তারা প্রবেশ করুক, আমরা সেখান থেকেই তাদের সন্ধান বের করবো এবং নিশ্চিহ্ন করবো।’
এরদোগান বলেন, ‘আমরা এমন এক সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে লড়াই করছি যাদের অতীত শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ সব বয়সী বেসামরিক মানুষের গণহত্যায় পূর্ণ এবং যারা নিষ্ঠুরভাবে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে আসছে।’
রোববার উত্তর ইরাকের গারা পার্বত্য অঞ্চলের গুহা থেকে ১৩ তুর্কি নাগরিকের লাশ উদ্ধারের পর এই মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
তুরস্কের সেনাবাহিনীর পরিচালনায় কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিরুদ্ধে ক্ল-ঈগল ২ অভিযানের মধ্যেই তুর্কি নাগরিকদের লাশ উদ্ধা করা হলো।
এরদোগান বলেন, ‘গারা একটি ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল এবং এর পতন হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
গত বছরের জুনে তুরস্কের সেনাবাহিনী সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় ক্ল-টাইগার ও ক্ল-ঈগল অভিযান শুরু করে।
কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী পিকেকে ও তুরস্কের সেনাবাহিনীর মধ্যে ৩০ বছর যুদ্ধ চলছে। তুরস্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত এই সংগঠনটিকে সীমান্তে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ হত্যার জন্য দায়ী করা হয়।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক