ফাইজারের তৈরি করোনা টিকা ইসরায়েলে ৯৪ শতাংশ কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। মহামারী প্রতিরোধে এটিকে তারা ‘ব্যাপক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেছে।
ইসরায়েলে ফাইজারের টিকা অনুমোদনের পর মোট ১২ লাখ মানুষকে নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬ লাখকে ফাইজারের দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হয়। বাকি ৬ লাখ মানুষকে টিকা না দিয়ে তুলনা করবার জন্য রাখা হয়।
দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা ক্লালিট বিবৃতিতে বলেছে, ‘যে ৬ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়নি তাদের তুলনায় টিকা নেওয়া ৬ লাখের ৯৪ শতাংশ মানুষের কভিড-১৯ উপসর্গ হ্রাস পেয়েছে। এই একই গ্রুপের মানুষদের যারা রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৯২ শতাংশের মারাত্মক অসুস্থতা দেখা দেয়নি।’
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার অধীনে টিকা নেয়া ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষের মাত্র ৫৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হন। হাসপাতালে যেতে হয় ১৫ জনকে। গুরুতর অসুস্থ হন চারজন। কেউই মারা যাননি।
ফাইজারের ভ্যাকসিন কোম্পানিটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ৯৫ শতাংশ কার্যকর হয়েছে। এরপর বিভিন্ন দেশ এটি অনুমোদন দেয়।
কার্যকারিতার হিসাব এমনই। ৯৫ শতাংশ সফল মানে এটা নয় যে গড়ে ১০০ জনের ৯৫ জন সুস্থ থাকছেন। ভ্যাকসিন না নেওয়া সমান সংখ্যক মানুষের তুলনায় ভ্যাকসিন নেওয়াদের সুস্থতার হার থেকে মূলত কার্যকারিতার হিসাব করা হয়।