ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়ে টেস্ট সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মায়ার্সের অতিমানবীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে নিয়েছে সফরকারীরা। অবিশ্বাস্য এই জয়ের পর ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটের হুঙ্কার, তারা মোটেও খর্ব শক্তির দল নয়।
করোনা শঙ্কায় মূল দলের ১২ জন ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফরে আসেননি। যে তালিকায় নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ছাড়াও শাই হোপ, এভিন লুইস, শিমরন হেটমায়ার রয়েছেন। ফলে অনেকেই দলটিকে ‘খর্ব শক্তির’ মনে করেছেন। তবে ক্যারিবিয়ানদের অবিশ্বাস্যভাবে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে নেওয়ার পর সেই ধারণা আর কারোর থাকার কথা নয়। ব্র্যাথওয়েট সেটাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘এখন সবাই প্রমাণ পেয়েছে। মানুষ আমাদের যে রকম খর্ব শক্তির দল মনে করে আমরা তা নই।’
২০১৮ সালে বাংলাদেশের স্পিনারদের ছোবলে দুই ম্যাচের সিরিজে হেরেছিল পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ অনেক তারকা ক্রিকেটার দেশে রেখে আসা এবারের দলটিই কিনা মুমিনুল হকদের লজ্জা দিলো! রূপকথার জয়ের পর তাই ব্র্যাথওয়েটের হুঙ্কার ‘এ দলটিকে আমি খর্ব শক্তির বলতে চাই না। দলটিকে নিয়ে আসার সময় আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
আর এই বিশ্বাসের ফল পাওয়ার আনন্দে ভাসছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক, ‘২০১৮ সালে আমরা হেরেছিলাম। যে কারণে এবার ভালো করার প্রত্যয় ছিল। প্রথম দিন থেকেই আমি দলটির ওপর আস্থা রেখেছিলাম। এটি শুধুমাত্র নিজেদের ওপর আস্থা রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। সেটার ফল আমরা পেলাম পঞ্চম দিনে এসে।’
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম চার দিন দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ও পঞ্চম দিনে সবকিছু পাল্টে যায়। উইকেট না হারিয়ে উল্টো বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। ব্র্যাথওয়েট বললেন, ‘বিকেলে (চতুর্থ দিন) শুরুতে তিনটি উইকেট হারিয়ে আমরা কিছুটা ছন্দ হারিয়েছিলাম। তবে পিচ দারুণ সহায়তা করেছে। আমরা জানতাম ম্যাচটি হবে উন্মুক্ত। নিজেদের পরিকল্পনায় আস্থা ছিল। আর বনার ও মায়ার্স পরিকল্পনায় ছিল একেবারেই অবিচল। যেটি কার্যকর হয়েছে।’