সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল, ব্রয়লার, সোনালি মুরগি ও ডিমের। তবে দাম কমেছে সবজি ও পেঁয়াজের। অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু, খাসির মাংস ও অন্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১, ২, ৬ ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কলোনী বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শিম ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২০ টাকায়। এছাড়া প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ১০ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া আকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
হালিতে পাঁচ টাকা কমে কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৯০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে সাত টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি চিনিতে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা, নাজির শাইল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা ভোজ্যতেল প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়।
কালশী বাজারের খুচরো তেল বিক্রেতা মো. রহিম বলেন, ভোজ্যতেলের ব্যারেল প্রতি দাম বেড়েছে। এ কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও খুচরা বাজারে লিটার প্রতি দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তেলের দাম আরও বাড়বে। এভাবে তেলের দাম বাড়তে থাকলে মার্চ মাসে ভোজ্যতেলের প্রতিলিটার হবে ১৫০ টাকা।
বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিম প্রতিডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।
দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) ২১০ থেকে ২২০ টাকায় ও ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কালশী বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. আকাশ বলেন, পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। পোল্ট্রিতে উৎপাদন বেড়ে গেলে তখন আবার দাম কমবে।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম।
বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরু ৫৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায়।
এসব বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইর ৫০০, রিডা ২২০ টাকা, কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা ১২০ টাকা ও রূপচাঁদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর-১১ নম্বর বাজারে আসা ক্রেতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফাইজুল আহমেদ বলেন, বাজার ঘুরে দেখলাম সবজির দাম সহনশীল পর্যায়ে আছে। কিন্তু মুরগি ও চালের দাম বেড়েছে। ভোজ্যতেলের দাম যে বেড়েছে তা আর কমছেই না। শুনছি তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। দিনকে দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।