আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নেতিবাচক প্রচারণার বিপরীতে জনকূটনীতি ফ্রন্টে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
নেতিবাচক দিকগুলোতে মনোনিবেশ করার পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের গভীর সম্পৃক্ততা চাই। পরিবর্তনের সময় এসেছে।’
গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের ধর্ষণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক পাক্ষিক খবর প্রকাশ না করে সঠিক চিত্র তুলে আনার বিষয়ে উৎসাহিত করেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) নতুন কমিটির সভাপতি পান্থ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন নেতৃত্বে এর নেতারা মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, জনকূটনীতি উইংয়ের মহাপরিচালক সামিয়া হালিম, ডিরেক্টর আরিফা রহমান রুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিডিয়াতে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে যা দেখছেন তা বাস্তব চিত্র নয়।
ডিকাব নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিকাব সদস্যদের সহায়তা করবে। তিনি ডিকাবের প্রস্তাবসমূহের প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো লিখিত আকারে জমা দেয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরো অনেক কিছু করার আছে এবং আমরা এটি করতে সক্ষম হব।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বলেন, ডিকাবের দেয়া সব প্রস্তাব সমাধানযোগ্য। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একই জায়গাতে আছি।’
জনকূটনীতি প্রচারে কীভাবে আরো বেশি সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে ডিজি ও জনকূটনীতি উইংয়ের পরিচালক তাদের পরিকল্পনার কথা বৈঠকে শেয়ার করেন।
সূত্র : ইউএনবি