করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ পার করল যুক্তরাজ্যও। বিশ্বে মৃতের তালিকায় দেশটির অবস্থান পঞ্চম।
শুরু থেকে করোনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসা ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফো জানাচ্ছে, বাংলাদেশ সময় বুধবার সাড়ে আটটা পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে এক লাখ ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩৭ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৬২ হাজারের বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টা নতুন করে এক হাজার ৬৩১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২০ হাজারের বেশি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকো মৃতের সংখ্যা এক লাখ পার করে। দেশগুলোতে মোট মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫২, ২ লাখ ১৮ হাজার ৯১৮, এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৫১ এবং এক লাখ ৫২ হাজার ১৬ জন।
করোনায় এত বেশি মানুষ মারা যাওয়ার জন্য বিশ্লেষকেরা সরকারের অনেক সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় লকডাউন আরোপ করতে দেরি করে ফেলে ব্রিটিশ সরকার। টেস্ট এবং কনটাক্ট ট্রেসিংয়েও গড়িমসি ছিল। এ ছাড়া কেয়ার হোমগুলোতে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ব্রিটিশ জনগণের মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি ছিল, এমনটাও উঠে এসেছে। দুর্বল জনস্বাস্থ্যের জন্য করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে সরকারকে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বড় কেন্দ্র, বহু জাতি বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ ও শহরে জনসংখ্যার চাপ মহামারি বেশি সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এর মধ্যে করোনার নতুন ধরন বা স্ট্রেইন যুক্তরাজ্যকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। ফলে সবার আগে টিকা অনুমোদন ও মানুষকে টিকা দেয়া শুরু করলেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে মৃতের সংখ্যা।