ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘নো ওয়ান ইজ পারফেক্ট’- অর্থাৎ কেউ-ই নিখুঁত নয়। ভুল সবাই করে, সেই ভুল শুধরে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতাই মানুষকে লড়াকু করে তোলে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অনুশীলনে ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিককে সেটাই মনে করিয়ে দিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে শাসন জারি রেখে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার আনন্দের পাশাপাশি ঝুলিতে জমা হয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের ৩০ পয়েন্ট। টানা তিন জয়ে সুপার লিগের দুই নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ, সামনে কেবল অস্ট্রেলিয়া।
দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই দারুণ এক সিরিজ জয়। মিশন এবার লাল বলের ক্রিকেটের। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটাররা মঙ্গলবার বিশ্রামে ছিলেন। টেস্ট স্কোয়াডে থাকা ১০জন ক্রিকেটার অনুশীলন করেছেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
মুমিনুল হক, সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম অনিক, মোহাম্মদ মিঠুন, নুরুল হোসেন সোহান, ইয়াসির আলী রাব্বি, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, খালেদ আহমেদ; এই ১০ জনকে নিয়ে অনুশীলনে দীর্ঘ সময় পার করেন ডমিঙ্গো, ওটিস গিবসন, রায়ান কুকরা।
সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুনকে দিয়ে নেটে ব্যাটিং সেশন শুরু হয়। এরপর ব্যাটিং শুরু করেন বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। তার নেটে থ্রোয়ার দিয়ে বল ছুড়ছিলেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, সাপোর্ট স্টাফ রজমান। ছিলেন স্পিনার নাঈম হাসানও।
থ্রোয়ার দিয়ে রমজানের করা একটি ডেলিভারি মিস করেন সাদমান। মিস করে হতাশা প্রকাশ করছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। সাদমানের শারীরিক ভাষা দৃষ্টি এড়ায়নি ডমিঙ্গোর। নেটের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ বলে ওঠেন, ‘আমরা সবাই ভুল করি। তুমিও করতে পারো। কিন্তু শারীরিক ভাষা নেতিবাচক হওয়া যাবে না। সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। কেউ-ই নিখুঁত নয়।’
এরপর বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিয়ে কাজ শুরু করেন ডমিঙ্গো। ম্যাচের মুহূর্ত ধরে ধরে মুমিনুলকে লক্ষ্য দিচ্ছিলেন বাংলাদেশ কোচ। ফিল্ডিং বেধে দিয়ে নির্দিষ্ট রানের কথা উল্লেখ করছিলেন তিনি। কখনও আবার অধিনায়ককে দিয়ে বল ছাড়ার অনুশীলন করাচ্ছিলেন। ঠিক শট না খেললে ডমিঙ্গো বলে উঠছিলেন, ‘না, মো’ (মুমিনুলকে এই নামে ডাকেন তিনি)।
ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর ফুরফুরে মেজাজেই টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হলো বাংলাদেশের। তামিম ইকবালের মতো এই ফরম্যাটের অধিনায়ক মুমিনুলও নিশ্চয়ই চাইবেন দলকে শতভাগ সাফল্য এনে দিতে। মুমিনুলের সেই মিশন শুরু হবে আগামী তিন ফেব্রুয়ারি। এদিন জহুর আহমেদে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে শুরু হবে।