অবশেষে ঘটল অপেক্ষার সমাপ্তি। দীর্ঘ ১৪ বছর পর পাকিস্তান সফরে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে পাকিস্তান পৌঁছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে সবশেষ ২০০৭ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। সেবার দুই টেস্ট ও পাঁচ ওয়ানডে খেলেছিল তারা। টেস্ট সিরিজে ১-০ ও ওয়ানডে সিরিজটি তারা জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে।
এবার করোনা পরিস্থিতির মাঝেই দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির জন্য পাকিস্তানে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চাটার্ড ফ্লাইটে করে করাচি পৌঁছেছে তারা। গত বৃহস্পতিবার বিমানে ওঠার আগে দুইবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে সবার। সেখানে করোনা নেগেটিভ ছিলেন সবাই।
শনিবার বিমানবন্দরে নামার পর করা হয়েছে আরও একবার। এই পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার আগপর্যন্ত খেলোয়াড়রা সবাই আইসোলেশনে থাকবেন। পরে ১৭ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত করাচির জিমখানা মাঠে অনুশীলন করতে পারবে সফরকারী দলটি।
আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে করাচিতে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে রাওয়ালপিন্ডিতে, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে। পরে ১১, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে সিরিজের টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো।
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট স্কোয়াড :
কুইন্টন ডি কক (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), টেম্বা বাভুমা, এইডেন মারক্রাম, ফ্যাফ ডু প্লেসি, ডিন এলগার, কাগিসো রাবাদা, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কেশাভ মাহারাজ, লুঙ্গি এনগিদি, রাশি ফন ডার ডুসেন, অ্যানরিখ নর্তজে, ওয়াইয়ান মালদার, লুথো শিপমালা, বিউরান হেন্ডরিক্স, কাইল ভেরাইনি, সারেল আরউই, কিগান পেটারসন, তাবরিজ শামসি, জর্জ লিন্ডে, ড্যারিন ডুপাভিলন এবং মার্কো জানসেন।
পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াড :
আবিদ আলি, আবদুল্লাহ শফিক, ইমরান বাট, আজহার আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, কামরান গুলাম, সালমান আলি আঘা, সৌদ শাকিল, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (সহ-অধিনায়ক), সরফরাজ আহমেদ, নোমান আলি, সাজিদ খান, ইয়াসির শাহ, হারিস রউফ, হাসান আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং তাবিশ খান।