জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেন। তিনি বলেন, পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত একটি অংশের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলব মোস্তাক-জিয়ার মরনোত্তর বিচার করতে হবে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি মরনোত্তর বিচারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, যার নেতৃত্বে এই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল তার খুনি জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাকের মরনোত্তর বিচার করতে হবে।
মুরাদ বলেন, পরাধীনতার শৃঙ্খলভাঙ্গার চেষ্টার ইতিহাস বড় দীর্ঘ ইতিহাস। হোসেন সোহরাওয়ার্দী থেকে শুরু করে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন পরাধীনতার শৃঙ্খলভাঙ্গার। কিন্তু কোন নেতাই সফল হতে পারেনি। অবশেষে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙ্গালি জাতি স্বাধীনতা পান। আর এই স্বাধীনতার পূর্ণতা পায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাাবর্তনের মধ্য দিয়ে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরাশক্তিরা ১৫ আগষ্টের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। এই শক্তিরাই ৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখে। এই পরাজিত শক্তি এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ডা. মুরাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে প্রশংসিত। বিশ্বে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখছে। বিএনপির চোখ দিয়ে তখন কোন উন্নয়ন দেখেনা। তারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে বাধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।