রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষকে করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট সেশন জট কাটিয়ে উঠতে এখন থেকেই একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পলিসি (এসওপি) প্রণয়নেরও পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সূতিকাগার। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। উপাচার্য জানান, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করোনা মহামারীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। উপাচার্য জানান, শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন শ’ মৌলিক গবেষণা প্রকাশিত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরে একটি সেন্টেনারি মনুমেন্ট স্থাপন করা হবে।
তিনি আরো জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি লাঘবে এবার প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। উপাচার্য ১ জুলাই ২০২১ তারিখে শতবর্ষপূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধি দলের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্যদ্বয় ও কোষাধ্যক্ষ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।