ভার্জিনিটি পরীক্ষায় টু ফিঙ্গার টেস্টের বিরুদ্ধে রায় দিল পাকিস্তানের একটি আদালত। সোমবার পাঞ্জাব প্রদেশের এক আদালত এ রায় দিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীদের আশা দ্রুত পুরো দেশে এই আইন বলবৎ হবে।
এক প্রতিবেদনে ডয়চে ভেলে জানায়, সম্প্রতি পাকিস্তানে ধর্ষণ আইনে বিপুল বদল আনা হয়েছে। ধর্ষকদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ভার্জিনিটি টেস্ট বা টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে এত দিন পর্যন্ত কেউ কোনো কথা বলেনি।
টু ফিঙ্গার টেস্ট অনেক পুরোনো প্রচলিত পরীক্ষা। যেখানে মেডিকেল অফিসার ধর্ষণের পর নারীর যৌনাঙ্গে দুটি আঙুল ঢুকিয়ে ভার্জিনিটির পরীক্ষা করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বহু দিন আগেই জানিয়েছে, এই পরীক্ষার কোনো অর্থ নেই। এই পরীক্ষা থেকে ধর্ষণ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানাও যায় না। বরং নারীকে অপমানই করা হয়।
বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিল। তারই জেরে পাঞ্জাবে একটি আদালতে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার রায়েই আদালত টু ফিঙ্গার টেস্ট বন্ধের রায় দিয়েছে।
পাকিস্তানে ধর্ষিত নারীদের বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রক্ষণশীল সমাজ ধর্ষিতা নারীদের নানাভাবে অপমান করে। প্রকাশ্যে তাদের ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বস্তুত সে কারণেই এত দিন পর্যন্ত টু ফিঙ্গার টেস্টের প্রচলন ছিল বলে মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য। আদালতের রায় সমাজকে এক নতুন পথ দেখাবে বলে তাদের আশা।