ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মরিয়াম আবু দাক্কার স্মৃতি এখনও তার বাবা রিয়াদ মোহাম্মদ আবু দাক্কার দেহে বেঁচে আছে, তার কন্যার দান করা একটি কিডনির মাধ্যমে।
রিয়াদ আবু দাক্কা আল জাজিরাকে বলেন, কিডনি বিকল হওয়ার খবর জানার পরই তার মেয়ে গোপনে নিজের রক্ত পরীক্ষা করিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সে পরীক্ষা করিয়ে দেখেছিল মিলছে কি না। ফলাফল ইতিবাচক এলে সে আমাকে কিডনি দিতে চায়। আমি তাকে না করে বলেছিলাম, তুমি এখনও তরুণী। তোমার সামনে পুরো জীবন পড়ে আছে। আমি বৃদ্ধ, মৃত্যুর কাছাকাছি।’
কিন্তু মারিয়াম জেদ ধরেছিলেন—অবশেষে তিনি বাবাকে কিডনি দান করেন।
আবেগভরে রিয়াদ বলেন, ‘এখন তার কিডনি আমার শরীরের অংশ। আমি কীভাবে তাকে ভুলব?’
প্রতিদিন তিনি মারিয়ামের কবর জিয়ারত করেন, যেখানে তিনি রোজা ও তুলসী গাছ লাগিয়েছেন। তার মেয়ে সেগুলো ভালোবাসত।
তিনি বলেন, ‘সে সাংবাদিকতাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসত। আবেগপ্রবণ, সাহসী ও শক্ত মনের ছিল আমার মেয়ে।’

