জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মূল পর্বের দ্বিতীয় দিনেও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ছিল বিশ্বনেতাদের কণ্ঠে। ইসরায়েল বিরোধী অভিযোগ উঠে আসে ইরান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখে। স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘে দেয়া ভাষণেও অস্ত্র সহায়তার জন্য ধর্না দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
প্রায় ছয় দশক পর জাতিসংঘের আসরে যোগ দিতে দেখা গেল কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টকে। পোডিয়ামে উপস্থিত বাশার আল আসাদ সরকারকে উৎখাতকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা থেকে রাষ্ট্রনেতা বনে যাওয়া আহমেদ আল শারা। সাবেক এই আল কায়েদা নেতার কণ্ঠে ছিল ইসরায়েল বিরোধী অভিযোগ।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা বলেন, ইসরায়েল আমার দেশের বিরুদ্ধে হুমকি তৈরি করছে। ডিসেম্বরের ৮ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরিবর্তনের সময়টিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে এই অঞ্চলকে নতুন সংঘাতের দিকে নিতে চায়। এই সংকট থেকে উত্তরণে সিরিয়া আলোচনা ও কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করতে চায়।
অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ তুলে ধরে ধরেন ইরানের প্রেসিডেন্টও। আরেকবার পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ প্রত্যাখান করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বলেন, আরও একবার এই অধিবেশনে ঘোষণা করতে চাই, ইরানের কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিপ্রায় ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না। এটা আদর্শগত বিশ্বাস ও নেতাদের ধর্মীয় নীতির বিষয়। বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের জন্য অস্ত্র রাখার ইচ্ছা আমাদের কখনও ছিল না থাকবেও না।
দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনের দ্বিতীয় বক্তা ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। অস্ত্রে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতি। তিনি বলেন, আগ্রাসনকারীকে থামাতে আমাদের সবার সামরিক সক্ষমতা একসাথে ব্যবহার করা উচিৎ। এতে যদি রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি হয়, সেটাই করা উচিৎ এবং এখনই। কারণ পুতিন এই যুদ্ধের সম্প্রসারণ চান। এবং কোনো দেশই নিরাপদ নয়।
এদিন ফিলিস্তিনের পক্ষে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধেও কথা বলেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ঠেকানোর কোনো অধিকার নেই ইসরায়েলের।