কিছু কথা হচ্ছিলো বাস্তবতার নিরিখে আবার কিছু ইতিহাস ঘেঁটে। ইতিহাদে ম্যাচ হলেও অতীত ভেবে ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে ম্যানইউকে এগিয়ে রেখেছিলেন কেউ কেউ। তবে নতুন মৌসুমে দুই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীর প্রথম দেখায় শেষ হাসি হেসেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। নিজেদের মাঠে রেড ডেভিলদের ৩-০ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। অপর গোলটি করেন ফিল ফোডেন।
আন্তর্জাতিক বিরতির আগে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের সবশেষ দুই ম্যাচে টটেনহ্যাম ও ব্রাইটনের কাছে হেরেছিলো ম্যানসিটি। যদিও বিরতি থেকে ফিরেই আজ বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টার ম্যাচে চমক দেখালো সিটিজেনরা। ২০২৫-২৬ মৌসুমে ৪ ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট তাদের।
এদিন ম্যাচ ঘড়ির ১৮ মিনিটে ম্যানসিটিকে এগিয়ে নেন ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন। জার্মেই ডোকুর বাড়ানো বলের সূত্র ধরে দলকে লিড এনে দেন তিনি। ম্যানইউর বিপক্ষে এটি তার ষষ্ঠ গোল। এই গোলে সিটিজেনদের শুরুর একাদশে নিজের অবস্থান নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো, তা কিছুটা হলেও উড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ এই সেন্টার ফরোয়ার্ড।
হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের ২৯ মিনিটে শোধের সুযোগ পায় ম্যানইউ। এমবেওমো তেড়েফুঁড়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন, কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বেনফোর্ট থেকে ম্যানইউতে যোগ দেওয়া ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড। তার ভুলভাবে মারা শট উড়ে গিয়ে দোনারুমার গোলপোস্টের পেছনের গ্যালারিতে। মুহূর্তটি স্বাগতিক সমর্থকদের হাসি-ঠাট্টা আর উল্লাসের খোরাকে পরিণত হয়। প্রথমার্ধ ম্যানসিটির ১-০ লিডে শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে ম্যানসিটি। এবারের নায়ক আর্লিং হালান্ড। আর অ্যাসিস্টের ছিলো প্রথম গোলের সহায়তাকারী ডোকু। এই গোলের মাধ্যমে সিটির হয়ে ১৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন হালান্ড। ৫৫ মিনিটে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। ম্যানইউর রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বক্সে ডুকে পড়েন হালান্ড। শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
৬১ মিনিটে আরও একবার সুযোগ এমবেওমো। তার বলি শটটি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা। তার ঠিক ৭ মিনিট পর আরেকবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান হালান্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে সিলভার লং পাস ধরে সোজা ম্যানউইর বারে ডুকে পড়েন এবং বাঁ-দিকে শট নেন। আলতাই বায়িন্দির ঝাঁপিয়ে পড়েন। ততক্ষণে বল স্পর্শ করে ম্যানইউর জাল। এটাই ম্যাচের শেষ গোল। বায়িন্দির তিন গোল কনসিভির বিপরীতে ক্লিন সিট রেখেছেন দোনারুমা।
এদিন ৫৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে ম্যানইউ। গোলের জন্য তারা মোট ১৩টি শট নেয়। যেখানে সিটির ছিলো একটি কম। তবে অন টার্গেটে তাদের শট ছিলো একেবারেই কম-দুটি। এদিকে ম্যানসিটির অন টার্গেটে শট ছিলো ৫টি। মূলত এখানেই হেরে বসে সিটি।