ইরানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জুন মাসে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর পাইলট, কমান্ডার এবং ড্রোন অপারেটরদের সম্পূর্ণ প্রোফাইল প্রকাশ করেছে।
শনিবার (১ আগস্ট) ইরানের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই তথ্য ফাঁসের মাধ্যমে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তিগত পরিচয়, বসবাসের স্থান, কার্যকরী ইউনিট, সামরিক ঘাঁটি এবং অন্যান্য অভিযানে সম্পৃক্ততার বিস্তারিত প্রকাশ পেয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো যেভাবে টেলিভিশন সম্প্রচারে সেনা সদস্যদের মুখ ঝাপসা করে রাখে, তা সত্ত্বেও ইরান এই ‘গোপন তথ্য সংগ্রহে’ সফল হয়েছে বলে জানানো হয়।
‘তারা এখন আর নিরাপদ নয়’
একটি ইরানি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ এখন ওই পাইলটদের বাসস্থানসহ উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট অবস্থান সংগ্রহ করেছে।
চ্যানেলটি ইয়েল অ্যাশের একটি পুরনো সাক্ষাৎকার তুলে ধরে বলেছে। যেখানে সে বলেছিল, তিনি ‘জায়নিস্টদের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে’ চায়। এখন সে নিজেই আর নিরাপদ নয়।’
‘প্রতিশোধ ইতোমধ্যে শুরু’
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, কিছু ইসরায়েলি পাইলটের বাসভবন ইতোমধ্যে ইরানি প্রতিশোধমূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।
ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর ইয়াভনেতে একটি বাসভবনের ওপর আঘাতের ছবি প্রচার করেছে একটি চ্যানেল।
ইরান বলেছে, এই প্রতিশোধমূলক হামলায় কমপক্ষে ২২টি পাল্টা আক্রমণ চালানো হয়। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের পারমাণবিক, সামরিক এবং শিল্প স্থাপনা। এই হামলার পর মাত্র ১২ দিনেই ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করে।
‘ইরানকে দোষারোপের ব্যর্থ প্রচেষ্টা’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার পর ইসরায়েল ঐসব পাইলটদের স্কুলে সরিয়ে নেয়। কারণ কোনো হামলা হলে সেটা ‘বেসামরিক স্থাপনায় হামলা’ বলে প্রচার করা যায়।
সবশেষে ইরানি মিডিয়া জানায়, এই প্রকাশিত তথ্য শুধুমাত্র একটি উদাহরণ, এবং এ ধরনের আরও গোপন তথ্য ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে।
সূত্র: মেহের নিউজ