বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে চীন সফররত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-কে “যুগান্তকারী ও অবিশ্বাস্য” বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বিএনপির প্রতিনিধি দল চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে এ ঐতিহাসিক উদ্যোগের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লি জিয়াং ঝাওর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। বৈঠকে তিনি বিএনপির ‘এক চীন নীতির’ প্রতি সুস্পষ্ট সমর্থনকে স্বাগত জানান এবং রাজনৈতিক সমঝোতা স্মারকে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে চীনের উন্নয়ন মডেল, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এবং অবকাঠামো উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে চীনের অধিকতর অংশগ্রহণ প্রত্যাশিত।
চীনের সফরকালে বিএনপির প্রতিনিধি দল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার মিজ সুন হাইয়ানের আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেয়। এছাড়াও মঙ্গলবার সকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গেও তারা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
সফরের প্রথম দিন গত সোমবার (২৩ জুন) প্রতিনিধি দল চীনের পিপলস গ্রেট হলে সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রতিনিধি দলে বিএনপির মহাসচিব ছাড়াও রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।
বিএনপির এই সফরকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত করার সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রতিনিধি দল আগামী কয়েকদিন চীনের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।