spot_img

ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ চাই: ট্রাম্প

অবশ্যই পরুন

দফায় দফায় চলছে ইসরায়েল-ইরানের হামলা। পরিস্থিতি সামলাতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে প্রবেশের গুঞ্জন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও দেশটির আকাশসীমা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরইমধ্যে ট্রাম্প মঙ্গলবার (১৭ জুন) জানিয়েছেন, ইরানকে নিঃশর্তে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নাহলে হামলা আরও তীব্রতর হবে। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

এর আগের দুই বার্তায় তিনি দাবি করেছিলেন, ‘ইরানের আকাশসীমা এখন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে’ এবং ইরানের নেতার অবস্থান সম্পর্কে জানার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমরা তাকে হত্যা করব না—অন্তত এখনই নয়’।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কি না, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ— দেশটির কাছে রয়েছে ৩০,০০০ পাউন্ড (১৩,৬০০ কেজি) ওজনের এমন একটি অস্ত্র যা ইরানের সবচেয়ে গোপন ও মূল্যবান পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম, যা ফোর্দো নামক স্থানে একটি পাহাড়ের ৯০ মিটার (২৯৫ ফুট) নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

এই অস্ত্রটির পূর্ণ নাম জিবিইউ-৫৭ এমওপি, যার অর্থ ‘ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স পেনেট্রেটর’। এটি ৬১ মিটার গভীরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম—অথবা বারবার আঘাত করে আরও গভীরে প্রবেশ করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে এই অস্ত্র আছে, ইসরায়েলের কাছে নয়।

এই বিশাল (তবে পরমাণু-নয়) বোমা বহনে সক্ষম প্রায় একমাত্র বিমান হলো মার্কিন বিমান বাহিনীর বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান, যা একবারে দুটি করে এমওপি বহন করতে পারে। বর্তমানে এই বিমানগুলো ডিয়েগো গার্সিয়া নামক ভারত মহাসাগরের মার্কিন-ব্রিটিশ ঘাঁটিতে মোতায়েন আছে বলে ধারণা করা হয়, যা ইরান থেকে ২,৩৫৮ মাইল (৩,৭৯৬ কিমি) দূরে—বি-২-এর পাল্লার মধ্যে।

এছাড়াও, ‘ইউএসএস নিমিৎজ’ বিমানবাহী রণতরী নেতৃত্বে একটি মার্কিন নৌ-স্ট্রাইক গ্রুপও এই অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছে।

সুতরাং, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ধ্বংস করতে চায়, তাহলে ফোর্দোকে যুদ্ধের ময়দানে আনতেই হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

বিমান হামলা দিয়ে ইসরায়েলের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারবে—যদি তারা সিদ্ধান্ত নেয়। ইসরায়েলি কমান্ডো অভিযান একটি বিকল্প, তবে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

তবে এখন, অনেকেই এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক সম্প্রসারণ পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রশ্ন করছে: এটি কি তেহরানকে চাপ দিয়ে কোনো চুক্তিতে আনার একটি ব্লাফ, নাকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুদ্ধবিরোধিতা সত্ত্বেও আমেরিকা এই লড়াইয়ে যোগ দিতে যাচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে।

সর্বশেষ সংবাদ

১৫০ রানের মাইলফলক ছুঁতে পারলেন না শান্ত

১৫০ রানের মাইলফলক ছোঁয়ার আকুলতা নিয়ে গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দিনের ১৩৬...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ