যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন অভিযানবিরোধী পঞ্চম দিনের বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস। শহরজুড়ে চলছে গণগ্রেপ্তার এবং মেয়র কারেন বাস শহরের ডাউনটাউন এলাকায় কারফিউ জারি করেছেন। একই সঙ্গে অভিবাসন অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ন্যাশনাল গার্ড সেনারা সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এজেন্টদের সুরক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অভিবাসনবিরোধী এই অভিযান এবং এর প্রতিক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়ছে।
শহরটির পুলিশ বলছে- তারা গণগ্রেপ্তার চালিয়েছে। মেয়র কারেন বাস শহরের ডাউনটাউনের একটি তুলনামূলক ছোট এলাকায় রাতভর কারফিউ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হচ্ছে।
অন্যান্য স্থানে অভিবাসন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মোতায়েন করা ন্যাশনাল গার্ড সেনারা এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এজেন্টদের আইন প্রয়োগকারী কার্যক্রমে সুরক্ষা দিচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) ট্রাম্প চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা এবং ৭০০ মেরিন পাঠানোর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, এটি শহরটিকে বিদেশি শত্রুদের দ্বারা বিজিত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য। এই সৈন্যদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই এবং তাদের কেবল ফেডারেল সম্পত্তি ও কর্মীদের সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গভর্নর নিউসম প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি আবারও উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি আরও শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর, যাকে ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে দেখা হচ্ছে, তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে অন্যান্য রাজ্যগুলোও এর পরের শিকার হবে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লস অ্যাঞ্জেলেসের কারফিউ কার্যকর হওয়ার পর, পুলিশ ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছুঁড়তে শুরু করে। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ পরে জানিয়েছে যে একাধিক দল তখনও ডাউনটাউনে জড়ো হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি