যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন) ভাঙার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) স্থানীয় সময় ঘটা করে আয়োজনের মাধ্যমে আদেশটিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ প্রচারণার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটির শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষমতা অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজ।
আল-জাজিরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। যদিও তার এই প্রচেষ্টা আদালতের চ্যালেঞ্জ এবং সাংবিধানিক বাধার সম্মুখীন হতে পারে।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে ট্রাম্প বলেন, আমি ফেডারেল শিক্ষা বিভাগকে একবারে নির্মূল করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করব। এবং এটা অদ্ভুত শোনাচ্ছে, তাই না? শিক্ষা বিভাগ, আমরা এটি নির্মূল করতে যাচ্ছি এবং সবাই জানে এটি সঠিক, এবং ডেমোক্র্যাটরা জানে এটি সঠিক।
যদিও ডেমোক্র্যাট এবং শিক্ষা সমর্থকরা বেশ দ্রুতই এই পদক্ষেপকে কেবল প্রেসিডেন্টের অতিরিক্ত ক্ষমতার আরেকটি উদাহরণ নয় বরং সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করার প্রচেষ্টা হিসাবে নিন্দা জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের ওই অনুষ্ঠানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার লিখেছেন, শিক্ষা বিভাগ ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক এবং বিপর্যয়কর পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি। এটি শিশুদের ক্ষতি করবে।
আল-জাজিরা বলছে, ফেডারেল সরকারের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা উদ্যোগকে একীভূত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অধীনে শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এটি করার মাধ্যমে সেসময় তিনি একটি নতুন মন্ত্রিসভা-স্তরের অবস্থান তৈরি করেন, যা তখনও রিপাবলিকানরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে— এই পদক্ষেপ রাজ্য এবং স্থানীয় স্কুল বোর্ডগুলোর ক্ষমতা কেড়ে নেবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এই বিভাগের একটি সীমিত ম্যান্ডেট রয়েছে। এটি পাঠ্যক্রম বা স্কুল প্রোগ্রামিং নির্ধারণ করে না বরং শিক্ষার ওপর তথ্য সংগ্রহ, গবেষণা প্রচার, ফেডারেল সাহায্য বিতরণ এবং বৈষম্যবিরোধী ব্যবস্থা কার্যকর করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকে।
সূত্র: আল-জাজিরা