spot_img

একটা পলাতক দল দেশ অস্থিতিশীল করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা

অবশ্যই পরুন

একটি পলাতক দল দেশটাকে অস্থিতিশীল করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। একটা ধ্বংসাবশেষ থেকে অর্থনীতি ও দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছেন বলেও দাবি তার।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সোমবার (৩ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে তারা। এই ছয় মাসকে আপনি কীভাবে দেখেন, আপনি যা করতে চেয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাতে কতটা সফল হয়েছেন- এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রথমেই একটা সংশোধনী বলি, গ্রেপ্তার আতঙ্ক – আমার কাছে কোনো আতঙ্ক ছিল না। একটা সম্ভাবনা ছিল যে আমাকে নিয়ে যাবে। আই ওয়াজ টেকিং ইট ইজি যে নিলে নেবে, আমারতো করার কিছু নাই। যেহেতু আইন-কানুন নাই দেশে, কাজেই তারা যা ইচ্ছা তা করতে পারে। ওর মধ্যে দিয়ে জীবন চলছিলো আমার। সরকার যখন গঠন হলো, আমার কোনো চিন্তা ছিল না, ভাবনা ছিল না যে আমি হঠাৎ করে একটা সরকারের প্রধান হবো, দায়িত্ব পাবো। এবং সেই দেশ এমন দেশ, যেখানে সব তছনছ হয়ে গেছে। কোনো জিনিস আর ঠিকমতো কাজ করছে না। যা কিছু আছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে।

কাজেই আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে আনা। সেই চেষ্টাটার মধ্যে ছিলাম। তারপর আস্তে আস্তে ভবিষ্যতটা কী হবে, সেটার জন্য চিন্তা করা – কোন দিকে আমরা অগ্রসর হবো।

প্রথম চিন্তা আসলো যে একটা সংস্কার দরকার আমাদের। কারণ যে কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে, ফ্যাসিবাদী সরকার চলতে পেরেছে। ১৬ বছর ধরে চলতে পেরেছে, আমরা কিছুই করতে পারি নাই। তিন-তিনটা নির্বাচন হয়ে গেলো, ভোটারের কোনো দেখা নাই। এই যে অসংখ্য রকমের দুর্নীতি এবং ব্যর্থতা, মিসরুল ইত্যাদি – সেখান থেকে আমরা কীভাবে টেনে বের করে আনবো। টেনে বের করে আনতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো করতে হবে। সেজন্য প্রথমে আমরা ঠিক করলাম…

দেশটাকে দুর্নীতি, মিসরুল (আইনের অপপ্রয়োগ) থেকে কতটা টেনে বের করে আনতে পারলেন এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের বিষয়ে? সংস্কার তো এখনও শুরু করিনি…। বহু পরিবর্তন। এটা আমি বলবো, যে ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছিলাম, তার নতুন চেহারা আসছে। ভেসে উঠছে যে, আমরা অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি। এটা তো পরিষ্কার- সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি। এটা কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না যে আমি অমুক দেশের আস্থা অর্জন করতে পারিনি। যে দেশেই বলুন, তারা আমাদের উপর আস্থা স্থাপন করেছে। শুধু আস্থা স্থাপন করেছে না, বিপুলভাবে করেছে। তারা বলছে আমরা অতীতে যা করি নাই তারচেয়ে বেশি করবো এখন, যেহেতু আমরা দেখছি যে সুন্দরভাবে সরকার চলছে এখন। সেইজন্য তারা বলছে। কাজেই এটা একটাতো বড় প্রমাণ। যখনই আপনি দেশের সারিগুলা দেখবেন- প্রত্যেকটা দেশ নিজে এসে বলেছে, আমরা তোমাদের সমর্থন করছি। তোমাদের যা দরকার আমরা দেবো। অবিশ্বাস্য রকমের সহায়তা দিয়েছে তারা।

আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে কিন্তু অনেক সমালোচনা হচ্ছে, অপরাধও কিন্তু বেশ কিছুটা বেড়েছে। তো এটা আপনারা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না- এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আস্থার কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, আস্থার কথাতেই ফিরে যাই, দেশ-বিদেশের আস্থা। দেশের মানুষের আস্থা আছে কিনা আমদের উপর এটাইতো বড় কথা।

তিনি বলেন, আমার মনে হয়, দেশের মানুষের আস্থা আমাদের উপর আছে। বিপুল পরিমাণে আছে। কাজেই সেটা হলো বড় প্রমাণ। আমরা কী করছি না করছি- এগুলো খুচরো বিষয় আছে। আমাদের খুচরো বিষয় এটাতে ভালো, ওটাতে মন্দ- কিছু ভালো, কিছু মন্দ, হতে থাকবে। এটা একটা অপরিচিত জগত, আমরা এসেছি। আমরা কোনো এক্সপার্ট এখানে এসে বসি নাই। আমরা এসেছি যার যার জগত থেকে এসেছি, নিজের মতো করে চেষ্টা করছি কীভাবে করতে পারি। তারমধ্যে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিছু ভালো করেছে, কিছু ভালো করতে পারেনি। এটা হতে পারে। এটা আমিতো অস্বীকার করছি না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা অনেকগুলো সংস্কার কমিশন করেছি। আমাদেরকে ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের রিপোর্ট দেয়ার কথা। তারা দিতে পারে নাই। আমি অভিযোগ করছি না। কারণ বিশাল একটা কাজ। আরেকটু সময় চেয়েছে- এক মাস, দুই মাস। ওইটুকু একটু পিছিয়ে গেছে। এগুলো আর কী। কাজ করতে গেলে যা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমিতো হিসাব নিচ্ছি। অপরাধের পরিমাণ মোটেই বাড়েনি। আগের মতোই হয়েছে। চেষ্টা করছি আমরা। সমস্যা আপনিও জানেন, আমিও জানি। প্রথম দিকে সমস্যা ছিল যে পুলিশ বাহিনী যাকে দিয়ে আমরা কাজ করাচ্ছিলাম, তারা ভয়ে রাস্তায় নামছিল না। দুইদিন আগে তারা এদেরকে গুলি করেছে। কাজেই মানুষ দেখলেই সে ভয় পায়। কাজেই তাকে ঠিক করতে করতেই আমাদের কয়েক মাস চলে গেছে। এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। এখন আবার নিয়ম শৃঙ্খলার দিকে আমরা রওনা হয়েছি। কাজ করতে থাকবো। (সংক্ষেপিত)

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন

রাজধানীর পূর্বাচলে নির্মানাধীন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ভেন্যুটির নতুন নাম রাখা হয়েছে ন্যাশনাল ক্রিকেট...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ