spot_img

৪৪ বছর পর জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার বিয়ের আংটি পাঠালেন ফিলিস্তিনি

অবশ্যই পরুন

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েই প্রিয়তমা স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য পাঠিয়েছেন নতুন বিয়ের আংটি। ইসরায়েলি কারাগারে দীর্ঘ সময় বন্দি থাকা আলোচিত ফিলিস্তিনি নাইল বারঘুতি ঘটিয়েছেন এই কাণ্ড। আংটিতে খোদাই করা আছে দু’জনের নামও। বিয়ের আংটি পেয়ে আবেগাপ্লুত স্ত্রী ইমান নাফি। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ বছর বয়সে এসে আবারও হাতে নতুন বিয়ের আংটি পরলেন ফিলিস্তিনি নারী ইমান নাফি। যা সদূর মিসর থেকে পশ্চিম তীরে পাঠিয়েছেন তার স্বামী-ই।

গল্পের শুরুটা মজার মনে হলেও আসল ঘটনা ঘুরিয়ে দিবে চিন্তার মোড়। ৬০ বছর বয়সী ইমান নাফি হলেন, ইসরায়েলি কারাগারে দীর্ঘ সময় বন্দি থাকা আলোচিত নাইল বারঘুতির স্ত্রী। যিনি দুই দফায় জেলে ছিলেন ৪৪ বছর। ১৯৭৮ সালে এক ইসরায়েলি বাস ড্রাইভারকে হত্যার দায়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সে কারাবন্দি হয়েছিলেন বারঘুতি। টানা ৩৩ বছর সাজা ভোগের পর ২০১১ সালে পান মুক্তি। মাত্র ৩২ মাসের মাথায়, ২০১৪ সালে আবারও পাঠানো হয় ইসরায়েলি কারাগারে। সেই থেকে কেটে গেছে আরও ১১ বছর।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জেরে মুক্তি পেয়েছেন নাইল বারঘুতি। তবে তাকে পশ্চিম তীরে নিজ বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল। এর পরিবর্তে পাঠানো হয়েছে মিসরে। এত দীর্ঘ সময় পরেও স্ত্রীর সাথে দেখা না হওয়ায় মিসর থেকেই প্রিয়তমার কাছে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন বিয়ের আংটি। যাতে খোদাই করা আছে দু’জনের নাম।

নাইল বারঘুতির স্ত্রী ইমান নাফি বলেন, মিসর থেকে ও আমার জন্য আবারও বিয়ের আংটি পাঠিয়েছে। আমাদের বিয়ের সময় ওর হাতে যে আংটি ছিলো সেটা কারাগারে কেড়ে নেয়া হয়েছিল। দেখা না হলেও নাইল যে এখনো বেঁচে আছে আমি এতেই খুশি। এই আংটি আমাদের অবিরাম ভালোবাসার প্রতীক।

স্বামীর সাথে দেখা করতে মিসরে যেতে চেয়েছিলেন ইমান নাফি। তবে তাকেও পশ্চিম তীর ছাড়তে দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি আরও বলেন, নাইল মিসরে আছে শুনে তখনই সিদ্ধান্ত নেই মিসর যাওয়ার। কিন্তু মাঝপথেই আমাকে বাঁধা দেয়া হয়। এটা কেমন কথা? ওরা কি জানে না এত বছর ধরে পরিবার থেকে আলাদা থাকার কষ্ট কেমন?

এত কিছুর পরও বারঘুতির সাথে আবারও দেখা করার আশা ছাড়েন নি ইমান নাফি। নতুন করে সাজিয়েছেন ঘর। স্বামীর জন্য কিনে রেখেছেন নতুন জামাও।

সর্বশেষ সংবাদ

‘পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব গ্রহণ করেনি কমিশন’

জনপ্রশাসন সংস্থার কমিশনে ২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ