দেশে গত জানুয়ারিতে ৬২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১০০ জন। এই সময়ে ৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত, ২ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেল দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটি জানিয়েছে, নিহতের মধ্যে নারী ৭২, শিশু ৮৪। ২৭১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৬৪ জন, যা মোট নিহতের ৪৩.৪২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩.৬৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৩.৫১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন, অর্থাৎ ১২ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়— মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৬৪ জন (৪৩.৪২ শতাংশ), বাসের যাত্রী ২৮ জন (৪.৬০ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৪ জন (৫.৫৯ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৯ জন (৩.১২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯০ জন (১৪.৮০ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম) ১৮ জন (২.৯৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১২ জন (১.৯৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে— দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৪টি (৩৪.৪৬ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৫টি (৪২.৬৭ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৯৬টি (১৫.৪৫ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৪২টি (৬.৭৬ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৪টি (০.৬৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার ধরন: দুর্ঘটনাসমূহের ১৩৩টি (২১.৪১ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪১.৫৪ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪১টি (২২.৭০ শতাংশ) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়া, ৭৫টি (১২.০৭ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪টি (২.২৫ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।