বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করে। এই সমর্থন বিএনপিকে অনেকের হিংসার কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে এবং দলটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় আয়োজিত বিএনপির ৩১ দফা কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচন চাওয়া কোনো অন্যায়ের বিষয় নয়। বিএনপি সবসময় স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী। তবে আমি সবাইকে সতর্ক করতে চাই, কেউ যেন মনে না করেন যে আগামী নির্বাচন খুব সহজ হবে। প্রধান প্রতিপক্ষ দুর্বল হয়ে গেছে বলে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। আমাদের প্রত্যেককে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, যদি কেউ নিজের স্বার্থের জন্য বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আঘাত করে বা বিশ্বাস নষ্ট করে, তাহলে তাকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছি, কোনো ব্যক্তি দলের সুনাম নষ্ট করার সুযোগ পাবে না।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করা। যদি জনগণের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হই, তাহলে এতদিনের আন্দোলন ও কর্মশালা ব্যর্থ হবে। সেজন্য আমাদের সঠিক পথে থাকতে হবে এবং অনৈতিক কাজ কঠোরভাবে বর্জন করতে হবে।
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৮০’র দশক থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে। এই ষড়যন্ত্র শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধেও কাজ করছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, স্বৈরাচার চলে গেছে, কিন্তু তাদের প্রভাব ও ছোট ছোট অংশ রয়ে গেছে। তারা এখনো ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের দলের ভেতরেও ষড়যন্ত্রকারীদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।